Image description

চট্টগ্রামের পটিয়ায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হওয়া বৃদ্ধ নুরুল হকের পরিবারকে আসামিদের সঙ্গে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটিয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। আসামি গ্রেফতার না করে উল্টো কয়েক দিন ধরে বাদীর পরিবারের লোকজনের কাছে গিয়ে এবং থানায় ডেকে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।

 

শনিবার পটিয়া সদরে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ করেন নুরুল হকের স্ত্রী ছেমন নাহার।

 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে কয়েক সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। আরও কয়েকজন এখনো জামিন নেননি। পুলিশ এসব আসামিকে গ্রেফতারের বদলে সমঝোতা করতে বলেছে। অন্যদিকে সমঝোতা করা না হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে পরিবারটিকে। এ কারণে নিহতের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে নিহত নুরুল হকের ছেলে জামাল উদ্দিন ও স্ত্রী ছেমন নাহার এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

 

লিখিত বক্তব্যে জামাল উদ্দিন বলেন, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জুমার নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ কাউসারুল হক বাপ্পার নেতৃত্বে তার বাবার ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড, দা ও গাছের বাটাম দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। হামলায় নিহতের ছেলে, ভাই, স্ত্রী, চাচা-চাচি এবং ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর পটিয়া থানায় করা মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয় এবং এলাকাবাসী সেলিম নামের একজনকে আটক করে পুলিশের দেয়। নিজ উদ্যোগে পুলিশ বাকি আসামিদের এখনো গ্রেফতার করেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

সংবাদ সম্মেলনে জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনো আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়নি। খুনিরা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে

 

তিনি খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার, পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব, জেলা প্রশাসক এবং চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

 

 

 

বাদীপক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পটিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ ইমরুল জানিয়েছেন, আসামিপক্ষ বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছে। এ কারণে বাদীপক্ষকে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাদীপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি।