
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আল্টিমেটামকে একেবারে পাত্তাই দিচ্ছেন না ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তার তোয়াক্কা না করে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন আরও জোরদার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। নতুন নতুন এলাকা দখল করছে রুশ সেনারা, আর কিয়েভে চালানো সর্বশেষ বড় হামলাটি একদিনে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটিয়েছে।
শুরুতে রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু তাতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি পুতিন। এরপর সময়সীমা কমিয়ে ১০ থেকে ১২ দিনে যুদ্ধ বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এবারও পুতিনের প্রতিক্রিয়া, “থোড়াই কেয়ার”। উল্টো ফ্রন্টলাইনে রুশ সেনাদের কার্যক্রম আরও তীব্র হয়েছে।
এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প পুতিনকে প্রকাশ্যে “বুলশিট” বলে গালি দিয়ে বসেন এবং ইউক্রেন অভিযানের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে একে “চরম বিরক্তিকর” বলে আখ্যা দেন।
তবে পুতিন একদিকে যেমন আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে আবার শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করলেও তাকে ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, “অস্বাভাবিক বা অতিরঞ্জিত প্রত্যাশার কারণেই হতাশা জন্ম নেয়।” তিনি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক তিন দফা আলোচনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন, যেখানে শত শত যুদ্ধবন্দি বিনিময় হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।
পুতিন আরও বলেন, “আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যাশিত। কিন্তু শান্তি তখনই দীর্ঘস্থায়ী হবে যখন তা উভয় দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
তবে রাশিয়ার প্রধান শর্ত অপরিবর্তিত—ইউক্রেনকে দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে রুশ মালিকানা স্বীকার করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো নমনীয়তা দেখাচ্ছেন না পুতিন।
রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন, আর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এরইমধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—রাশিয়ার ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এই নতুন মোড়ে মার্কিন নেতৃত্ব কতটা কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারবে, তা নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।