Image description

গুলশানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সাবেক সমন্বয়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান রিয়াদ। তার সঙ্গে আরও চার নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গ্রেপ্তারের পর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে রিয়াদের চাঁদাবাজি ও সংগঠন ঘিরে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এ প্রেক্ষাপটে ইউরোপপ্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, রিয়াদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব অভিযোগ তোলেন।

জুলকারনাইন সায়েরের দাবি, রিয়াদ শুধু ব্যক্তি নয়, বরং একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের ‘মূল হোতা’। সেই চক্রের পেছনে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ছত্রছায়া ছিল, আর সেই ছত্রছায়াদানকারী ছিলেন নাহিদ ইসলাম। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘রিয়াদ যে আপনার (নাহিদ ইসলামের) শেল্টারে ছিল, সেটা আমি জানতাম। পরে জানতে পারি, আপনার ও আপনার বাবার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন কারণ আপনাকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে—যেন আমি রিয়াদকে ধরিয়ে দেওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছি। আমি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিতে চাই, রিয়াদকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই।’

স্ট্যাটাসে ‘কিছু প্রশ্ন’ শিরোনামে জুলকারনাইন সায়ের আরও কয়েকটি প্রসঙ্গ তোলেন:
১. ছাত্রশক্তি ঢাবিতে বিপ্লবের আগে কতটা প্রভাবশালী ছিল?
২. দেশের আর কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?
৩. ৫ আগস্টের আগেই কি নাহিদ ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বয়কদের চিনতেন?
৪. কেবল ছাত্রশক্তি দিয়ে কি কোনো ‘বিপ্লব’ সংগঠিত করা সম্ভব ছিল?
৫. সাদেক কায়েমের অবদান না জানালে, নাহিদ ইসলামরা কি তা জাতির সামনে তুলে ধরতেন?

সবশেষে তিনি পুনশ্চ অংশে লেখেন, ‘নাহিদ ইসলাম, আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ রিয়াদকে কোনো রকমের সার্ভেলেন্সে রাখি নাই। আর সে চাঁদা আনতে গিয়ে যে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, সেটাও আমার লাগানো না।’

তিনি আরও দাবি করেন, তার কোনো তদারকি বা পরিকল্পনার ফলেই রিয়াদ গ্রেপ্তার হননি। বরং, এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে চালানো প্রচার ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যাচার।