'এখন আলোচনায় 'এক্সিট''

বিবিসি বাংলা
Image description

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'এখন আলোচনায় 'এক্সিট''

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স সামনের মাসে এক বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের মধুচন্দ্রিমা পুরোপুরি শেষ হওয়ায় এ বছর রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ বাড়তে পারে।

দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশি-বিদেশি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরকারের প্রতি প্রাথমিক সমর্থন কমে গেছে, আর এখন এর বিদায়ের সময় এসে গেছে।

সিপিডির দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যতদিন এই সরকার থাকবে, সংকট তত বাড়বে। সেনাবাহিনীও মনে করে, দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রয়োজন।

সেমিনারে জানানো হয়, ২৬টি দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচন দিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সরকার সংস্কার সংলাপ চালালেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।

বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি সংকটেও উন্নতি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা সম্ভব। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, শুরুতে আশাবাদ থাকলেও এখন হতাশা বাড়ছে। নির্বাচনের বিকল্প নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ বলেন, নির্বাচন অধ্যাপক ইউনূসের অধীনেই হতে পারে, তবে তার আগে প্রয়োজন সব পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং পতিত স্বৈরাচার ফিরতে না দেওয়ার ব্যবস্থা।

সব মিলিয়ে, আলোচনায় এখন 'এক্সিট' – অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায় ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিবিসি বাংলার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ বিবিসি বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় আ.লীগ, তৎপর পুলিশ'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী ৫ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।

সরকারবিরোধী দলগুলো নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আর আওয়ামী লীগও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে।

তারা গার্মেন্ট শ্রমিকদের ব্যবহার করে নাশকতা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাই সতর্ক অবস্থানে গেছে এবং সারাদেশে নজরদারি ও বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

আবাসিক হোটেল, সড়কপথ, সীমান্ত, বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও বিমানবন্দরের চারপাশে বিশেষ তল্লাশি চলছে। পুলিশের নির্দেশনায় নিরপরাধদের হয়রানি না করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, তবে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের ধরার চেষ্টা চলছে।

অনেকে ভারতে আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, আওয়ামী লীগের নেতারা হঠাৎ মিছিল করে সাধারণ মানুষের ভেতর মিশে যেতে পারে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয়ভাবে নৈরাজ্য ছড়াতে পারে।

গত বছরের আন্দোলনে ছাত্র ও সাধারণ মানুষদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমান সরকার বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং ৫ই অগাস্ট ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবু সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'মৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব শেষ করতে চাইলেও মৌলিক সংস্কারের সব প্রস্তাবে এখনো রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি।

ফলে "জুলাই জাতীয় সনদ" আজ চূড়ান্ত হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

কমিশন ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আলোচনায় বসে এবং দুই ধাপে দলগুলোর মতামত নেয়।

দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, নারী প্রতিনিধিত্ব, নির্বাচন পদ্ধতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদ নিষিদ্ধ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব।

নারী আসন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধাপে ধাপে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে এবং প্রতি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো নারী প্রার্থীর হার পাঁচ শতাংশ করে বাড়াবে, এটি সংবিধানে যুক্ত হবে।

তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব, রাষ্ট্রের মূলনীতি, মৌলিক অধিকার ও কিছু সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে এখনো মতভেদ আছে।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলো এসব বিষয়ে আপত্তি তুলেছে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক উঠেছে।

কিছু দল চাইছে আইনি ভিত্তি, নাহলে সনদের বাস্তবতা থাকবে না। তবে কমিশন বলছে, তারা আগে সনদের খসড়া চূড়ান্ত করতে চায়, বাস্তবায়ন নিয়ে পরে আলোচনা হবে।

এতে কিছু দল হতাশা প্রকাশ করেছে। তবুও কমিশন আজ একটি সমন্বিত খসড়া প্রস্তুত করতে আশাবাদী।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Deal reached on women's JS seats' অর্থাৎ, 'জাতীয় সংসদে নারী আসন নিয়ে চুক্তি সাক্ষর'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার সময়সীমা শেষ হলেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি।

সবচেয়ে বড় বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকার, প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ, দ্বিকক্ষ সংসদের কাঠামো, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও রাষ্ট্রনীতির মৌলিক নীতিমালা নিয়ে।

তবে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে একটি বড় অগ্রগতি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হয়েছে, আগামী নির্বাচনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে এবং ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে।

ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে এই সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা হবে এবং ২০৪৩ সালের মধ্যে যদি ৩৩ শতাংশ সরাসরি নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়, তাহলে সংরক্ষিত আসন তুলে দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং নতুন নীতির খসড়া দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

অনেকেই চাইছে, এই সনদের বাস্তবায়ন যেন দ্রুত হয় এবং আইনগত ভিত্তি পায়, অন্যথায় এটি অসার থেকে যাবে।

বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দল নানা প্রস্তাব দিয়েছে, কেউ আইনি কাঠামো, কেউ গণভোটের কথা বলেছে। তবে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।

সব দল চায়, এই সনদ যেন বিশ্বাসযোগ্য, বাধ্যতামূলক ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়।

পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, '২০ শতাংশে নামছে শুল্ক'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতির ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ১৫ থেকে ২০ শতাংশে নামতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এক বড় কূটনৈতিক সাফল্য হতে পারে।

৮ই জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা ১লা আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

এতে তৈরি পোশাক, চামড়া ও হস্তশিল্প খাতগুলো বড় ধাক্কা খাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তবে বাংলাদেশ সরকার ২৩শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিস্তারিত অবস্থানপত্র পাঠায় এবং ২৯শে জুলাই থেকে ওয়াশিংটনে উচ্চপর্যায়ের তিনদিনের আলোচনা শুরু হয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাস ও বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুল্ক হ্রাসের ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

ভিয়েতনামের উদাহরণ টেনে বাংলাদেশ যুক্তি দেয়, যেখানে ভিয়েতনামের ঘাটতি ১২৩ বিলিয়ন ডলার, সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ছয় বিলিয়ন।

এছাড়া বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, ডাল ও এলএনজি আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই শুল্ক সমঝোতা হলে তা হবে কেবল অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিকভাবেও সরকারের জন্য একটি বড় অর্জন, যা ভবিষ্যতের কূটনৈতিক শক্তি বাড়াবে।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক উন্নতির চেয়ে রাজনীতি, ব্যবসা ও প্রশাসনিক পদে নিয়োজিত থাকাই শিক্ষকদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।

এর ফলে শিক্ষা ও গবেষণার মান কমেছে, যা আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ার প্রমাণ দিচ্ছে।

সরকার সদ্য 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন' নামে প্রায় দুই হাজার ৮৪০ কোটি টাকার এক বিশাল প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল ফোকাস নতুন ভবন নির্মাণে।

এতে ৪১টি বহুতল ভবন, আবাসিক হল ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাসস্থান নির্মাণের কথা রয়েছে।

কিন্তু এই প্রকল্পে শিক্ষার মানোন্নয়নে গবেষণা বা পাঠদানের পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।

বরং বাজেটের মাত্র দুই দশমিক ০৮ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণায়, যা যথেষ্ট নয় বলে শিক্ষাবিদদের মত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও মনে করেন, ভবন নয়, দরকার ছিল গবেষণা ও আধুনিক পাঠদানের পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া।

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে শিক্ষার পরিবেশ আরও ব্যাহত হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যুক্তি হলো, অবকাঠামো উন্নয়ন ছিল সময়ের দাবি, যা শিক্ষার পরিবেশকে সহায়তা করবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দর ভবন তৈরি করলেই শিক্ষার মান বাড়ে না—তাতে চাই গবেষণা, গুণগত শিক্ষকতা ও একাডেমিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।

পত্রিকা

সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'রাউজানে দ্বন্দ্ব, খুনের পেছনে মাটির ব্যবসা বালুমহাল দখল, চাঁদা'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামের রাউজানে গত ১১ মাসে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, বালু-মাটি ব্যবসা এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সংঘর্ষ হয়েছে প্রায় অর্ধশত।

এই সহিংসতার মূল উৎস দুই বিএনপি নেতা গিয়াস কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকারের আধিপত্যের লড়াই।

উভয় পক্ষই ইটভাটা ও মাটি-বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে সহিংস পথে হাঁটছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বালু উত্তোলন ঘিরে তৈরি হয়েছে সংঘর্ষের হটস্পট।

রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা চক্রগুলো এলাকায় খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।

অনেক আওয়ামী লীগপন্থি নেতা এখন বিএনপিতে যোগ দিয়ে পুরোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।

ইউএনও ও পুলিশের ভাষ্য মতে, নেতারা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।

হত্যা ও অপহরণের ঘটনার পেছনে দলীয় পরিচয়ে বারবার প্রশ্রয় এবং বিচারহীনতা বড় ভূমিকা রাখছে।

জনগণ আতঙ্কে আছে, আর প্রশাসন বারবার সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিএনপির জেলা কমিটি ভেঙে দেয়া হলেও সহিংসতা কমেনি।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবসার আধিপত্য ঘিরে সংঘর্ষ, খুন, চাঁদা আদায় আর অপরাধ এখন রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা।

শান্তি ফেরাতে কেবল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, দরকার দলীয় নেতাদের আন্তরিকতা ও জবাবদিহিতা।

পত্রিকা

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, 'Salman F Rahman, Shibli Rubayat banned from market for life' অর্থাৎ, 'সালমান এফ রহমান, শিবলী রুবাইয়াতকে আজীবনের জন্য পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষণা'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) 'আমার বন্ড' ও 'গ্রিন সুকুক' নিয়ে ভয়াবহ জালিয়াতির অভিযোগে কয়েকজনকে আজীবনের জন্য পুঁজিবাজার থেকে নিষিদ্ধ করেছে।

তারা হলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

২০২৩ সালে 'আইএফআইসি আমার বন্ড' নামে এক হাজার কোটি টাকা তোলার সময় বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে প্রতারণা করা হয়।

প্রকৃত ইস্যুকারী ছিল বেক্সিমকোর সহযোগী শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড, কিন্তু আইএফআইসি ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে ভুল ধারণা তৈরি করা হয়।

একইভাবে, ২০২১ সালে তিন হাজার কোটি টাকার গ্রিন সুকুক অনুমোদনে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার ধরা পড়ে।

এই অর্থে দুটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ও টেক্সটাইল সম্প্রসারণের কথা থাকলেও এখন কেবল তিস্তা সৌর প্রকল্প চালু আছে।

বাকি প্রকল্প থেমে গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সংকটে। সরকার পরিবর্তনের পর সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার ছেলে পলাতক, আর শিবলী রুবাইয়াত দুর্নীতির মামলায় জেলে।

বিএসইসির ভাষায় এটি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কমিশনের নিজস্ব সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ।

তদন্তে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বাজার থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা তোলার দুর্নীতি ধরা পড়েছে।

পত্রিকা

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'একশ খেলাপির পকেটে ৩ পদ্মা সেতুর টাকা'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আর্থিক খাত ভয়াবহ খেলাপি ঋণে আক্রান্ত, যা ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১০০ জন ঋণখেলাপির কাছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা প্রায় এক লাখ আট হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত।

এস আলম ও বেক্সিমকো গ্রুপ সবচেয়ে বড় খেলাপি; এদের নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে, যার বড় অংশই ফেরত আসছে না।

বেক্সিমকোর ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টিই শতভাগ খেলাপি, আর এস আলম গ্রুপের ১০টি প্রতিষ্ঠানেও হাজার হাজার কোটি টাকা কুঋণ হয়েছে।

এই ঋণ অনেক সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে জামানত ছাড়া দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে মোট ঋণের ২৫ শতাংশের বেশি এখন খেলাপি, এবং এই অংক আরও বড় হবে যদি আদালতের স্থগিত আদেশ ও নন-ফান্ডেড ঋণ ধরা হয়।

বহু বড় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়ে কালো টাকা ও প্রভাব খাটিয়ে পার পাচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব ঋণের দায়ে জবাবদিহিতা ও কঠোর ব্যবস্থা জরুরি।

পত্রিকা


author

Ari budin

#

Programmer, Father, Husband, I design and develop Bootstrap template, founder