
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামে এ স্কুলছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় তাকে স্কুলে ঢুকতে দেননি প্রধান শিক্ষক। গত ২০ জুলাই চাপাতলা গ্রামের স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের রিনা আক্তার মনিরা। সদ্য বিয়ে হয়েছে। গত ২০ জুলাই মাকে সঙ্গে নিয়ে মনিরা যায় স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান তাকে ক্লাসে বসতে দেননি।
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিবাহিত মেয়েরা স্কুলে পড়তে পারবে না।’
এ সময় মনিরা ও তার মা অনেক অনুরোধ করলেও প্রধান শিক্ষক নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। পরে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো সমাধান হয়নি।
মনিরা বলেন, ‘আমি শিক্ষক হতে চাই। বিয়ে হয়েছে বলেই কি আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে? আমি স্কুলে ফিরতে চাই। আমার একটা চাওয়া আমি যেন আর দশটা শিক্ষার্থীর মতো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারি। আমার স্বপ্ন যেন থেমে না যায়।’
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কোনো সরকারি নির্দেশনায় নেই যে বিবাহিত শিক্ষার্থী স্কুলে পড়তে পারবে না। প্রধান শিক্ষক নিজে নিয়ম করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়ম মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’