Image description

সবশেষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন মোশাররফ হোসেন, ১৯৮৭ সালে। এর ৩৭ বছর পর এই তালিকায় নাম উঠল বাংলাদেশের দুজন সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেলের।

বাংলাদেশ ও ভারতের চার জন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে রিলে সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের সময় লেগেছে ১২ ঘন্টা ১০ মিনিট। এদের মধ্যে হিমেল কিশোরগঞ্জ জেলা ও সাগর পাবনা জেলা থেকে উঠে আসা সাঁতারু।

আটলান্টিক মহাসাগরের অংশ ইংলিশ চ্যানেল যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করেছে। সাঁতারুরা যুক্তরাজ্যের ডোভারের শেক্সপিয়ার বিচ থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে ফ্রান্সের কাপ গ্রিস নিস বিচে পৌঁছে সাঁতার শেষ করেন।

এর আগে বাংলাদেশের তিন জন সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন তিনি। এই চ্যানেল সবচেয়ে কম সময়ে সাঁতারে পার হওয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন তখন। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া যে কোনো সাঁতারুর জন্যই স্বপ্ন। তবে সাঁতারের জন্য স্লট পাওয়া যায় না। কখনও এটা সাঁতারুদের জন্য হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল। বাংলাদেশি দুই সাঁতারু ৭ জুলাই যুক্তরাজ্য যাওয়ার পর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাদের। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় স্লট পাচ্ছিলেন না তারা।

চ্যানেলে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা থাকে ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি। তার ওপর আবহাওয়া খারাপ থাকলে তো আরো সমস্যা। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে শুকরিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু।