
ইসরাইলের লাগাতার বর্বর হামলায় গাজা আজ এক ভয়াবহ মৃত্যুপুরী। মানবিক বিপর্যয় চরমে—গেল ২৪ ঘণ্টায় দখলদারদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি। এমনকি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
জাতিসংঘ জানায়, খাবারের খোঁজে বের হলে সহস্রাধিক নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার সেনারা। গাজায় এখন ৭৫ শতাংশ পরিবার চরম পানি সংকটে; অধিকাংশ মানুষ দিন পার করছে এক বেলা খাবার খেয়ে।
এই অমানবিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি বলেন, “ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে গাজার অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে চায়।”
গেল শুক্রবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে জরুরি ফোনালাপে এবং বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি ওআইসির দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৌহিদ হোসেনও জোর দেন মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এবং ওআইসির মাধ্যমে কার্যকর সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি বলেন, “এই নিঃশংসতা আর যুদ্ধপরাধ থামাতে হবে এখনই।”
আঞ্চলিক নিরাপত্তা, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং মুসলিম বিশ্বের ঐক্য নিয়েও আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন-ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানান ইরানি মন্ত্রী।