Image description

মেঘনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী আহ্সান খলিল পদত্যাগ করেছেন। আজ (২৭ জুলাই) রোববার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও অনুলিপি দিয়েছেন।

জানতে চাইলে কাজী আহ্সান খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নতুন পর্ষদ আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে আমাকে ছুটিতে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নিজেই পদত্যাগ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করলেই আরও অনেক কিছু জানতে পারবে।’

প্রসঙ্গত, খলিল ন্যাশনাল ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে তার ব্যাংকিং কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকে কাজ করেছেন। 

আজ সন্ধ্যায় ছয়টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান শীর্ষনিউজকে জানান, তিনি বিষয়টি এখনো জানেন না। তার কাছে পদত্যাগপত্রের অনুলিপি তখনো আসেনি। তবে পদত্যাগ করার এখতিয়ার তার রয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে মেঘনা ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ারধারী পরিচালকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। যাঁদের দুজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এন আশিকুর রহমান। এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবার ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংকটির বেশির ভাগ শেয়ার তাঁদের হাতে। তাঁদের পর্ষদ থেকে সরিয়ে নতুন পরিচালক করা হয় শেয়ারধারী উজমা চৌধুরী ও তানভীর আহমেদকে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই নির্বাহী পরিচালক মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত এমডি হাবিবুর রহমান ও হিসাববিদ আলি আকতার রিজভীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্য থেকে উজমা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন পরিচালনা পর্ষদ।