
৩০ ইঞ্চির রুমাল। ১৮ ইঞ্চির পরে দুদিকে দুটি তামার কয়েন অথবা ঠুকরা বাধা। এই রুমাল দিয়েই গলায় ফাঁস দেয়া হয়। সাথে ছোট একটি ছুরি দিয়ে লাশ ঠুকরো করে গোপন করে ফেলা হতো। এটাই খুনের বর্ণনা। আর এভাবে কম করে হলেও ১০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো।
পাঠক মাত্রই বুঝে থাকার কথা এই কথাগুলো কোন ইতিহাস থেকে নেয়া। শ্রীপান্থের 'ঠগী' বইটির কথাই বলছিলাম। আমি যেদিন প্রথম 'ঠগী' বই পড়ি এরপর কয়েকদিন রাতে ঘুমাতে পারিনি। স্বপ্নে দেখতাম কে যেন এসে আমাকে ঠুকরো ঠুকরো করে মেরে ফেলছে।
এরপর বইটি আমি আমার রুমেই আর রাখিনি, ফেলে দিয়েছিলাম।
মানবেতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর খুনী ছিলো ঠগীরা। তাদের একেকজন ১ হাজার, ২ হাজার কেউ কেউ আরোও বেশি মানুষ হত্যা করেছে। ঠগীদের মধ্যে এমন কোনো ব্যক্তি ছিলোনা যে ১০০ এর কম লোক খুন করেছে। এভাবে তারা ৩০০ বছরের মত মানুষ খুন করেছিলো।
চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আজ একটি কেইসের কথা বললেন। তারা তদন্ত করে পেয়েছেন, হাসিনার বাহিনীর একজন লোক ১০৩০ জনের মত মানুষকে মাথায় গুলি করে মেরেছে।
ঠগীরা মানুষ মেরে আনন্দিত হতো। ছোট ছুরি দিয়ে ঠুকরো ঠুকরো করে লাশ কবর দিয়ে দিত। হেনরি স্লিম্যান একটি কবরে ৫০/৬০ টি লাশও পেয়েছিলেন মাটি কুড়ে।
একইভাবে হাসিনার বাহিনীও সেইম কাজ করতো। তদন্তে এসেছে, ঐ ঘাতক বিরোধী দলের কর্মীকে নদীর মাঝখানে নিয়ে যেত। এবং সে একেবারে পাশে বসে মাথার কাছে বন্ধুক নিয়ে গুলি করতো। এতে সে মজা পেত।
কিরকম মজা?
কাছে থেকে গুলি করলে মৃত ব্যক্তির মাথার 'রক্ত ও মগজ' যখন হাতে এসে পরতো তখন গরম গরম লাগতো হাতে। আর রক্ত ও মগজের এই গরম গরম ভাব সে খুবই উপভোগ করতো। এটা তার কাছে ভালো লাগতো।
যদি উপন্যাস, গল্প ও সাহিত্য লেখা যেত তাহলে সম্ভবত শেখ হাসিনার খুনের বর্ণনা দিয়ে নোবেল জয়ী মার্ডার থ্রিলার সাহিত্য বাংলাদেশ থেকে রচনা করা যেত। কারণ খুনের নিষ্ঠুর, ভয়ংকর অভিনব সকল কায়দা হাসিনার কাছে জানা ছিলো।
ঠগীদের ইতিহাস সত্য ইতিহাস। ইতিহাসে হাসিনা আরেক ঠগী হিসেবে বাংলাদেশে রাজত্ব করেছিলো। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে, যেদিন হাসিনা লাশ ও রক্ত দেখতো সেদিন সে বেশি পরিমাণে 'ভাত ও তরকারি' খেতে পারতো।
হাসিনাকে তুলনা করলে একমাত্র ঠগীদের সাথেই তুলনা করা যায়। ভয়ংকর এক সাইকো কিলার বাহিনী এ দেশে ছিল। এরা এখনোও আছে। আর লিখা যাচ্ছেনা মাথা ঘুরছে।
-Saifullah Mohammad Tufayal