
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন (ইউপিডিএফ) সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দীঘিনালার বাবুছড়ায় ইউনিয়নের নারাইছড়ির জোড়া সিন্ধু কার্বারি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সবাই ইউপিডিএফের সামরিক শাখার সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে তাদের নাম-ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, নারাইছড়ির জোড়া সিন্ধু কার্বারি পাড়া এলাকায় ইউপিডিএফের সামরিক শাখা ‘গণমুক্তি ফৌজ ও পিপলস লিবারেশন আর্মির’ আস্তানায় হামলা করে জেএসএস। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, নারাইছড়ির ডুলুছড়ি এলাকায় দুপক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় চারজন নিহতের খবর পেলেও মরদেহ বা তাদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা এখনও পৌঁছাতে পারেনি।
এদিকে, নিহতের খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউপিডিএফ।
শনিবার (২৬ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, 'গোলাগুলির কোনো তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল। এর কোনো সামরিক শাখা থাকার প্রশ্ন একেবারে অবান্তর।'
তিনি আরও বলেন, 'ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এ মিথ্যা প্রচারে নেমেছে।'