Image description
 

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাপায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আট যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আড়াইমারি তরমুজ পাম্প এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 
 

নিহতরা সবাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদাহ গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন- আয়োয়ারা বেগম (৭৫), আঞ্জুমানয়ারা বেগম (৭৪), জাহিদুল ইসলাম (৬৫), সেলিনা বেগম (৫৫), ইতি খাতুন (৪৫), আমেনা বেগম (৫০), সীমা খাতুন (৩৫) এবং মাইক্রোবাসের চালক মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নবীরুদ্দিনের ছেলে সাহাব হোসেন রুবেল (৩৫)। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী নাজিম উদ্দিন নান্নু জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৪৮৬৪) বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ পাম্প এলাকায় পৌঁছালে, কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৬-৯৭৯২) অন্য একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকটির নিচে চাপা পড়ে। এতে মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা চালকসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাজশাহী সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল রাজ্জাক বলেন, নিহতরা সবাই তার আত্মীয়। তারা সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার নান্দীরামধু গ্রামে অসুস্থ পুত্রবধূ শাফিয়া বেগমকে দেখতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজন মারা যান এবং বাকী দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ও অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।