Image description

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের পর অভিযান চালিয়ে একটি সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। চাঁদাবাজদের ওই আস্তানার মিলেছে টর্চার সেলও। সেখান থেকে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের ১০ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ওই গোপন ডেরায় লোকজনকে তুলে এনে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করা হতো। আর দাবি অনুযায়ী চাঁদা না পেলে করা হতো নির্যাতন। এই টর্চার সেল পরিচালনার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে গুলি, হাতকড়া, হান্টার, বৈদ্যুতিক শক দেয়ার ডিভাইসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম। এর পেছনে যিনি নেতৃত্ব ছিলেন তিনি শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইশশা। তবে, তিনি পলাতক রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান নগর
পুলিশের কর্মকর্তারা।

তার আগে সোমবার বিকেলের দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন ফরিদার পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ ও র‌্যাব-৭। এরপর রাত ১০টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট মাছের বাজারে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান এই আস্তানার সন্ধান মিলে।

পুলিশ জানায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- বোরহান উদ্দিন, শান্ত মজুমদার, মো. আল আমিন, মো. মারুফ, মো. মিজানুর রহমান, মো. রকুন উদ্দিন, মো. অন্তর, খড় পাল, মো. রাহাত, ও মো. ফরহাদ। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখল, প্রতিপক্ষকে অপহরণ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের (সিএমপি) উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম জানান, এদের ব্যবহৃত বাসা থেকে একটি ১২টি কার্তুজ, ৪টি হান্টার, ৩টি হ্যান্ডকাফ, দুটি ব্যাটন, বৈদ্যুতিক শক ডিভাইসসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও উদ্ধার করা হয় চেহারা লুকানোর জন্য ব্যবহৃত ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একাধিক দড়ি, কালো মুখোশ, হ্যান্ড গ্লাভস, ক্যামেরাযুক্ত নজরদারি ডিভাইস, ডিজিটাল মাদক মাপার যন্ত্র, বিশেষ ধরনের রশি ও চোখ বাঁধার ফিতা।
এক প্রশ্নের জবাবে আমিরুল ইসলাম বলেন, অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকে না। তারা অপরাধীই। প্রধান অভিযুক্ত বুইশশাসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।