Image description
প্রস্তুত চীন-জাপান

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ায় দগ্ধ কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আহতদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৪টি দেশ সহায়তার প্রস্তাব করেছেন। ভারত ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিম এরইমধ্যে ঢাকার পথে রওনা করেছে। চীন ও জাপানের টিম এখনো রওনা করেনি; তবে বাংলাদেশের কী কী প্রয়োজন তা তারা জানতে চেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই দেশগুলো বাংলাদেশের চাহিদাপত্র সংগ্রহ করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে-দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশগুলো দগ্ধদের ক্রুশিয়াল মেডিকেল সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত। সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিম রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে বলেন- ডাক্তার, নার্সসহ মেডিকেল টিমটি ঢাকায় পৌঁছাবে। তারা ঢাকায় এসে সবকিছু পর্যালোচনা করবেন এবং এরপর কাউকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দেশ বা অন্যত্র পাঠানোর প্রয়োজন হলে সেই সুপারিশও করবেন। সরকার আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এদিকে চীন ও জাপানের জিজ্ঞাসার জবাবে বাংলাদেশ দুটি দেশের কাছে যে অভিন্ন চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে তা হাতে পেয়েছে মানবজমিন। ওই পত্রে ৮-১০ জনের মেডিক্যাল টিম চাওয়া হয়েছে উভয় দেশের কাছে। সেই টিমে বার্ন চিকিৎসকদের প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। মেডিক্যাল টিমে কনসালটেন্ট,  মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, নার্স এবং দগ্ধদের চিকিৎসার ক্রুশিয়াল সরঞ্জামাদির চাহিদা দিয়েছে বাংলাদেশ।

টিম পাঠাচ্ছে ভারত: এদিকে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং বিশেষায়িত কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ঢাকায় পাঠাচ্ছে ভারত। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপদস্থ সূত্রের বরাতে বিবিসি বাংলা জানায়, দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যাদের বার্ন ইউনিটে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, তারা নার্সদের একটি ছোট টিম নিয়ে মঙ্গলবার ২২শে জুলাই ঢাকা পৌঁছাবেন। সূত্র মতে, দিল্লি মেডিকেল ইক্যুইপমেন্টও পাঠাচ্ছে। প্রয়োজনে আরও চিকিৎসক পাঠাতে ভারত প্রস্তুত বলে জানা গেছে। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে উত্তরার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি মেডিকেল সাপোর্টের প্রস্তাবও দেন। বিবিসি বলছে, ঢাকায় সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে জানানো হয়েছিল, বেশির ভাগ ভুক্তভোগীর শরীর পুড়ে গেছে- তাই এই দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ দল, ইক্যুইপমেন্ট ও ওষুধপত্র পেলেই সবচেয়ে সুবিধা হবে। সেই অনুরোধ অনুযায়ী দিল্লি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় এবং নার্সসহ দু’জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে মানবজমিনকে জানানো হয়, বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য সব রকম সাপোর্ট ও সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লেখা এক চিঠিতে হাইকমিশন আহতদের জন্য যেকোনো ক্রিটিক্যাল মেডিকেল সাপোর্ট বিষয়ে তথ্য শেয়ার করার অনুরোধ জানায়। বলা হয়, এই বিয়োগান্তক দুর্ঘটনায় এমন আহতদের জন্য ভারত যেকোনো সহযোগিতায় প্রস্তুত।