Image description

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ওই সময়কার বেশিরভাগ খাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় এবং রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। এখন পর্যায়ক্রমে এসব অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ উঠেছে, মুজিববর্ষ পালনে রাষ্ট্রের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্টের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এই অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নামও চেয়েছে সংস্থাটি।

৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। 

চিঠিতে সারা দেশে মুজিব শতবর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চাওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতি সাধনের এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। 

সূত্র জানিয়েছে, দুদকের পক্ষ থেকে ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে মুজিবর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়া জেলায় কোথায় কতগুলো ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতি সাধনের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

চিঠিতে রেকর্ডপত্র দ্রুত দিতে বলা হয়েছে। রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ/ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হয়। অনুসন্ধানের জন্য সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলেও জানানো হয় চিঠিতে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, একই অভিযোগ অনুসন্ধানে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

এদিকে জেলা পরিষদে পাঠানোর আগে একই চিঠি বাংলাদেশ বেতার, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের আগস্টে দুদক জানিয়েছিল, মুজিববর্ষ পালনে অর্থ অপচয় ও এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হবে।

পরে গত এপ্রিল মাসেও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিববর্ষ পালন এবং শেখ মুজিবের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুদক। 

শীর্ষনিউজ