
ইশরাক হোসেন আবেগে এনসিপির বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, তাকে ‘ম্যাচিওর’ রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার (২১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা নিষিদ্ধ দল। তাদের হরতাল বাংলাদেশের মানুষ পরোয়া করে না। বরং তারা যা করছে এটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম। আমরা বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের জায়গা থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সারজিস বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি ঠিক করতে হলে সবাইকে সবার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কক্সবাজারে যা বলেছেন সেটা আমাদের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না, কিন্তু গতকাল বিএনপির আরেকজন মুখপাত্র জনাব ইশরাক হোসেন তার বক্তব্যে কিছু মানুষকে উলঙ্গ করে মারার কথা বললেন, কিছু কটুক্তি এবং একদম নিম্নমানের কিছু শব্দ ব্যবহার করে যেভাবে কথা বললেন, এটা পাটওয়ারীর বক্তব্যের চেয়ে অনেক ধাপ নিচের বক্তব্য।
এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা যদি কারোর কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি তাহলে তার চেয়ে ভালো করতে হবে। যদি তার চেয়ে খারাপ কিছু করে ভালো প্রত্যাশা করি তাহলে তো ভালো হবে না। আমরা চাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রত্যেকটা ব্যক্তির মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে উঠুক। এজন্য আমাদের যা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
ইসরাক হোসেন বলেছেন রাজনৈতিকভাবে এনসিপিকে ঘেরাও করা হবে এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, গতকাল ইশরাক ভাইয়ের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে তিনি একবারেই আবেগের বশবর্তী হয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে পলিটিক্যাল ম্যাচিউরিটির কিছুই দেখিনি। আমরা আশা করছি ফ্যাসিস্ট বিরোধী লড়াইয়ে যেমন ইশরাক হোসেনকে দেখেছিলাম আমরা সেই ইশরাক হোসেনকে দেখতে চাই। এই ধরণের বক্তব্য তার কাছে কখনোই প্রত্যাশিত নয়।
এ সময় দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের দেয়া সময়ের মধ্যেই এনসিপির ঘাটতি থাকা তথ্য সরবরাহ করা হবে। নিবন্ধন ইস্যুতে এনসিপির কোন ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।