
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গোপালগঞ্জে সেদিন আমাদের ওপরে যে হামলা হয়েছিল, যারা ওই হামলার পক্ষে কথা বলছেন যারা খুনিদের পক্ষে কথা বলছেন, আওয়ামী লীগের ডেড লিস্টে তারা নাই। আওয়ামী লীগের ডেড লিস্টে আমরা আছি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হলে আমাদের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে আসবে। সুতরাং আপনি যেভাবে সুশীলতা দেখাতে পারেন আমি সেভাবে দেখাবো না।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের তওবা করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের পতন হয়নি। সুতরাং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাকে পুনর্বাসন করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সুতরাং আওয়ামী লীগের তওবার যে সুযোগ ছিল, গত পরশু দিন গোপালগঞ্জের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের তওবা করার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে, কেয়ামত হওয়ার পর তওবা কোনও কাজে লাগে না। আওয়ামী লীগকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি সেই মুহূর্ত থেকে পুনর্গঠন হবে সেই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ হবে উইথআউট আওয়ামী লীগ। সেই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটবে। আমরা বাংলাদেশ উইথআউট আওয়ামী লীগ গঠন করা শুরু করেছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে, বিকালে এনসিপির নেতৃবৃন্দরা মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের দুই নম্বর গেট হয়ে চাষাঢ়ায় এসে পদযাত্রা শেষ হয়।