
গত বছরের ১৮ই জুলাই ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফ্রিল্যান্সার মুগ্ধ। সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের গুলিতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ছেন তিনি। এই সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কাউকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
আজ শুক্রবার (১৮ই জুলাই), মুগ্ধর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, "এক বছর হয়ে গেল, আমরা নিজেরাই ফুটেজ সংগ্রহ করে দিলাম, কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারল না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।"
শহিদ মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান ছেলের শেষ স্মৃতি স্মরণ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "শেষবার যখন দেখা হয়, ওর সাথে কথা বলতে চেয়েও পারিনি। সেই আফসোস আজও আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।" জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের কাজেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "বিচারের এই ধীরগতি আমাদের হতাশ করেছে। সরকারের এই ব্যর্থতা মেনে নেওয়ার মতো নয়।"
মুগ্ধর পরিবার মনে করে, যে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মুগ্ধর মতো তরুণেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, রাজনৈতিক বিভেদের কারণে সেই স্বপ্ন আজ ম্লান হতে বসেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে জুলাই আন্দোলনের যে সুফল আসার কথা ছিল, তা হয়তো নস্যাৎ হয়ে যাবে।"