Image description

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষক হওয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে। অন্যদিকে আগে যেখানে পর্যবেক্ষক হওয়ার 
যোগ্যতা ছিল এসএসসি, সেখানে এখন ন্যূনতম যোগ্যতা ধরা হয়েছে এইচএসসি। এ ছাড়া ভোটের নজরদারিতে তিনদিন মাঠে থাকতে পারবে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো। এমন শর্ত রেখে গতকাল ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন এই নীতিমালার ৪.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষক সংস্থাসমূহকে নিবন্ধনের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়ে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পর্যবেক্ষণে ইচ্ছুক সংস্থাকে গণবিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে কমিশন সচিবালয়ে জমা দিতে হবে। ফরমে বর্ণিত তথ্যাদি যথাযথভাবে পূরণপূর্বক বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত দলিলাদি আবেদনপত্রের সহিত সংযুক্ত করিতে হবে। আগের নীতিমালায় ১৫ দিনের কথা উল্লেখ ছিল না।

অন্যদিকে ৭.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন জমা দেয়ার সময় প্রত্যেক  পর্যবেক্ষককে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ফরম ইও-২ এবং ফরম ইও-৩ দাখিল করতে হবে। আগের নীতিমালা অনুযায়ী এসএসসি সার্টিফিকেট জমা দিতে হতো। এদিকে পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতায় পরিবর্তন আনছে ইসি। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষক হওয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে। এ ছাড়া আগে যেখানে পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা ছিল ন্যূনতম এসএসসি পাস, এখন সেখানে যোগ্যতা ধরা হয়েছে এইচএসসি পাস। এই দুটি ছাড়া পর্যবেক্ষকের যোগ্যতায় আর কোনো পরিবর্তন আসছে না। ওদিকে পর্যবেক্ষক মোতায়েন সংক্রান্ত ৯ নম্বর অনুচ্ছেদের একটি জায়গায় পরিবর্তন আনছে ইসি। আগামী নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা ৩ দিনের জন্য অর্থাৎ নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন পর্যবেক্ষক মোতায়েন করতে পারবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক নীতিমালা ২০২৩-এ এটির উল্লেখ ছিল না। এ ছাড়া অনুমোদিত পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন কমিশন থেকে মুদ্রিত বিশেষ নির্দেশনা সম্বলিত ‘পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র’ ভোটগ্রহণের ন্যূনতম ৩ দিন আগে প্রদান করা হবে। আগের নীতিমালায় নির্ধারিত কোনো সময় উল্লেখ ছিল না। 

অন্যদিকে নীতিমালার ১৫ অনুচ্ছেদের ‘বিবিধ’-তে বলা হয়েছে, এই নীতিমালার কোনো বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া এই নীতিমালার কোনো নীতিই বিদেশি পর্যবেক্ষকের জন্য প্রযোজ্য নয়। কমিশনের নিকট উপযুক্ত বিবেচিত হলে যেকোনো সময় এই নীতিমালার সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, পরিমার্জন কিংবা বাতিল করতে পারবে। এদিকে ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ এ ধারা রহিত করা হলো। উক্ত নীতিমালার অধীন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন অকার্যকর ও বাতিল করা হলো।