ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে ‘নাপা সেন্টার’ ব্যানার টাঙিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করেন তারা। পরে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তন্দ্রা বলেন, মৌমিতার এ মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত শোকজনক। আমরা তার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনকে দায়ী করি। ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় রাবি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রশাসন যদি আমাদের চিকিৎসাসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারত তাহলে মৌমিতার মৃত্যু হতো না।
তিনি আরও বলেন, স্কয়ার, ইবনে সিনাসহ বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীদের কি লাভ সেটি দেখা যায় না। আমাদের প্রধান দাবি, মৌমিতা হত্যার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নাঈম বলেন, মৌমিতার অকাল মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর শোকের ও ক্ষোভের বিষয়। জ্বর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গেলেও কোনো চিকিৎসা সে পায়নি। পরে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গেলে জানা যায়, সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এটি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও চিকিৎসা অব্যবস্থার ফল। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা চালু করতে হবে। মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আর কোনো মৌমিতার মৃত্যু দেখতে চাই না।
ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, প্রথমে মৌমিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি৷ আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মশা নিধন কর্মসূচি ও মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। চিকিৎসকরা যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে ও ভালো মানের চিকিৎসা দেয় সে ব্যবস্থা করবো।
