Image description

 

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর অধঃপতনের সূচনা হয় দেশের অর্থনীতির। দুর্নীতি, অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যেমন লুটপাট করা হয়েছে দেশের সরকারি খাতগুলোতে, ঠিক তেমনই সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাস করা হয়েছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। একের পর এক ব্যাংক লুটের কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার লোপাট এবং রিজার্ভ চুরির মাধ্যমে ভেঙে দেওয়া হয়েছে দেশের অর্থনীতির কোমর। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তছনছ করে দেওয়ার প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষ মাস্টারমাইন্ড ছিলেন পর পর তিনজন গভর্নরই- ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। এতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছেন সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর।
সরকারি মদদে যখন মাফিয়ারা ব্যাংক দখল, ঋণ কেলেঙ্কারি আর বিদেশে অর্থ পাচারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত তখন একনাগাড়ে এই তিন গভর্নরের ভূমিকা ছিল উত্তম সহযোগীর। এরাই আর্থিকখাতের মাফিয়াদের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকে আইনের আওতায় আসলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের এই তিন কুখ্যাত গভর্নর ও তাদের সহযোগীরা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে গত বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত গত সাড়ে ১৫ বছরে তিনজন গভর্নর এবং ১৩ জন ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে এখনো বহাল রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও হাবিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে তিন ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
সরকার পতনের পর অর্থ পাচারের হোতাদের কেউ কেউ আইনের আওতায় আসলেও অধরা থেকে গেছেন মাস্টারমাইন্ড খ্যাত তিন গভর্নর।  জানা যায়, এদের মধ্যে একজন পালিয়েছেন দেশের বাহিরে। আবার একজন বিশেষ সংস্থার তত্ত্বাবধানে বেশ আরাম আয়েশেই আছেন এবং অপরজন সরকার পতনের পর চলে যান আত্মগোপনে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া এই তিন গভর্নরের সরাসরি হস্তক্ষেপে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। ব্যবসা বা শিল্প গ্রুপ গুলোকে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এই গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নররা। বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামেও হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কখনো এরা নিজেরা সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ ঋণ অনুমোদনে বাধ্য করেছেন ব্যাংকগুলোকে। আবার কখনো ব্যাংকগুলোর অবৈধ ঋণ অনুমোদনে সায় দিয়েছেন অথবা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এই তিন গভর্নরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ কিংবা তলবও করা হয়নি। ড. আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হলেও ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি। যদিও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রধানদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা। তবে সাবেক এই তিন গভর্নরের অপকর্মের বিষয়গুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর অবশেষে গত ১০ জুলাই তদন্ত শুরু করে দুদক। সংস্থাটির সূত্র বলছে, বিগত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে ঋণ কেলেঙ্কারি ও লুটপাটের মাধ্যমে আর্থিকখাতকে দুর্বল করে ফেলার অভিযোগে এই তদন্ত শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করা তিনজনের নথিসহ ২৩ ধরনের নথি তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুদক।

হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত অনেক রাঘব বোয়াল আইনের আওতায় আসলেও এই তিন মাস্টারমইন্ডের ব্যাপারে ভ্রক্ষেপ নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। জানা যায়, তাদের অনুগত আমলাদের হস্তক্ষেপ এবং শক্তিবলয়ের কারণে ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে আছেন তারা। তাদের অনুসারী অনেক আমলা এখনও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। এসব ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সাবেক এই গভর্নররা সরকারের আইনগত পদক্ষেপের বাইরে রয়েছেন।
কে কোথায় ?
দেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা রিজার্ভ ‘লুট’ হোতা ড. আতিউর রহমান  পালিয়েছেন দেশের বাহিরে। জানা যায়, গেল ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, আতিউর রহমান বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন।
আতিউর রহমান দেশ ছাড়ার পর চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঋণ জাল-জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদকের মামলা সূত্রে জানা যায়, অ্যাননটেক্স কোম্পানির নামে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ মোট ২৩ ব্যক্তি রয়েছেন।
তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
২০০৯ সালের শেষ দিকে অর্থাৎ আতিউর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে তদারকি কমিয়ে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত সোনালী ব্যাংকে হলমার্কের আলোচিত ঋণ জালিয়াতি ফাঁস হয়। এরপরেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। একই গভর্নরের আমলে বেসিক ব্যাংক বড় জালিয়াতি হয়। এছাড়া ২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বেশ কয়েকটি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়। এভাবেই ব্যাংক লুটপাটের সূচনা করে গেছেন সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। এরপর ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরি হলে আতিউর রহমান পদত্যাগে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা বলছেন মূলত: আতিউর রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ১০১ মিলিয়ন ডলার লুটের ঘটনা ঘটে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তিনি। রিজার্ভ থেকে ওই অর্থ সরানোর পর এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ও তথ্য মুছে ফেলার সব আয়োজন সম্পন্ন হয় তার নির্দেশে।
গত ০৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান আরেক মাস্টারমাইন্ড সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরও। হাসিনা সরকার পতনের পর গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। জানা যায়, বর্তমান সরকারের কিছু আমলা এবং কর্মকর্তাদের ক্ষমতাবলয়ে দেশেই আছেন তিনি। গভর্নর পদে থাকাকালে যাদের তিনি নানা অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন এমন আশীর্বাদপুষ্ট লোকদের কারণেই এখন পর্যন্ত আইনের আওতার বাহিরে আছেন, মন্তব্য অনেকের।
২০১৬ সালে সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবির গভর্নর হলে তার প্রশ্রয় এবং সহযোগীতায় একের পর এক ব্যাংক দখল হতে থাকে। এসব ব্যাংকে নির্বিচারে লুটপাট শুরু করে দখলকারীরা। নতুন ব্যাংক অনুমোদন ও ঋণ নীতিমালায় ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ গোপন করার কৌশলও তিনি তৈরি করেছেন।
ইসলামী ব্যাংক দখলের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা রাখার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংক দখলের মহোৎসবে এস আলম গ্রুপকে উৎসাহ দেন সাবেক গভর্নর ফজলে কবির। মূলত তাঁর আমলেই চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে অর্থ লুটে নেওয়া শুরু করে।  কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই লুটপাটকে বছরের পর বছর সমর্থন করে গেছে। এমনকি এস আলমের পছন্দের লোকদেরই ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
গেল ৫ আগস্টর সময় গভর্নর পদে ছিলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালানোর সঙ্গে গভর্নর রউফও আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে একপ্রকার আত্মগোপনে থেকেই ৯ আগস্ট পদত্যাগ করেন তিনি। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সরকার পতনের সাথে গভর্নরও পালিয়ে গেলেন। গভর্নরের মত একটি অরাজনৈতিক পদে থেকেও কেন তিনি পালালেন! এটি অত্যন্ত কঠিন প্রশ্ন, কিন্তু উত্তর সহজ। গভর্নর পদে থেকে এত অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন যে, না পালিয়ে উপায় ছিল না। 
অর্থ সচিব থেকে গভর্নর হন আব্দুর রউফ। ২০২২ সালের ১২ জুলাই গভর্নর হিসেবে যোগদেন আব্দুর রউফ তালুকদার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে নীতি-নির্ধারণে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গভর্নর হওয়ার আগে অর্থসচিব থাকাকালেই তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নানা নীতি প্রণয়ন, এস আলম, বেক্সিমকো, আবুল খায়ের, নাসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ ঋণ সুবিধা দিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর পূর্বের দুই গভর্নরের চেয়েও তার সময়ে ব্যাংক ঋণে জালিয়াতি ও অনিয়ম অব্যাহত থাকে বড় মাত্রায়। লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোতে তিনি টাকা ছাপিয়ে তারল্য সুবিধা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশও নিষিদ্ধ করেন। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও গোটা অর্থনীতির ওপর ছিল তার নিয়ন্ত্রণ। কখনো কখনো দেখা গেছে অর্থমন্ত্রীর চেয়েও তার ক্ষমতা অনেক বেশি। আর এসব ক্ষমতাকে তিনি ব্যবহার করেছেন নানা অনিয়ম-অপকর্মে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন লুটপাটের অন্যতম সহযোগী আব্দুর রউফ তালুকদার বিশেষ সংস্থার ছত্রছায়ায় আছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, পদত্যাগের আগের দিন পর্যন্ত গভর্নর ভবনে ছিলেন আব্দুর রউফ। তবে পদত্যাগের কিছু সময় আগেই গভর্নর ভবন ছাড়েন তিনি। বর্তমানে তিনি বিশেষ বাহিনীতে কর্মরত এক আত্মীয়ের আশ্রয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে আব্দুর রউফ যখন গভর্নরের দায়িত্ব পান তখন ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪০ বিলিয়ন ডলারের উপরে। আর আবদুর রউফ তালুকদার যখন পালিয়ে যান, তখন দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে গেছে। এ বিশাল সময়ে টাকা লুটপাটের মতো ঘটনা এত হরহামেশা ঘটেছে যে, ব্যাংকখাতে অর্থ লোপাট সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান শীর্ষকাগজকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণ সরকারে এখতিয়ার। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু করার সুযোগ বা কোন এখতিয়ার নেই।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান শীর্ষকাগজকে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে যে অনাচার হয়েছে তা বড় ধরনের ঋণ খেলাপি। এর মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতি, জবরদখল এবং অর্থ পাচার ও লুটপাট হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেভাবে অর্থ চুরি হয়েছে অন্য কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এমন বড় ধরনের অর্থ চুরি হয়নি। এসব জানার পরও তৎকালীন সরকার কোন যথাযথ তদন্ত করেনি এবং ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। আমি জানিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসবের ব্যাপারে কতটুকু প্রাধান্য দিচ্ছে। অপরাধ যাইহোক কোনভাবে ছাড় দেওয়া কিংবা বিলম্ব করা উচিত নয়। এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এসবের তদন্ত করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এই কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃশ্যমান কোন তদন্ত চোখে পড়েনি। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ধসের সঙ্গে গভর্নররা সরাসরি জড়িত এটা এক প্রকার প্রমাণিত। এরপরেও কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না! এর জন্য সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত বলে আমি মনে করি। 


শীর্ষনিউজ