
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও লাঠি হাতে মিছিলের ভিডিও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করায় মোঃ শিমুল হোসেন নামে এক অনলাইন এক্টিভিস্টকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ সংগঠন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি সজিব হোসেন ম্যাসেঞ্জারে ফোন করে মঙ্গলবার দুপুরে এই হুমকি দেয়। সজিব হোসেন শৈলৈকুপা উপজেলার কদমতলা গ্রামের আনজির হোসেনের ছেলে।
বুধবার রাতে ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে মো: শিমুল হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তথ্য ও ভিডিও ধারণের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি তিনি অনলাইন এ্যক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি শহরের ২ নং পানির ট্যাংকি পাড়ায় নিজের “শিমুল মিডিয়া” ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি সজিব হোসেন ফোন করে ভিডিও শেয়ার করার কৈফিয়ত তলব করেন।
জবাবে শিমুল বলেন, এই ভিডিও সবাই তো শেয়ার করছে। আমি করলে দোষ কি ? ছাত্রলীগ নেতা সজিব এ সময় বলেন, “সবাই করুক তুই করবি ক্যা” এক পর্যায়ে হুমকি দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন “জুলাই তো আরো আসবে, সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি ? তুমার চোখে গুলি করে হত্যা করা হবে”।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতির এ ধরণের একটি অডিও বুধবার ভাইরাল হলে জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রনেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে শিমুল হোসেন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন, যার জিডি নং ১০৩৭।
উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী এলমা খাতুনের স্বামী হচ্ছে অনলাইন এক্টিভিস্ট শিমুল হোসেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মনোজ কুমারকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।
শীর্ষনিউজ/