
আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে পুলিশের মনোবল যে এখনো ফেরেনি তা মানছেন বাহিনীটির প্রধান বাহারুল আলম।
তিনি বলেছেন, “প্রধান চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, এরকম একটা ট্রমাটিক এক্সপেরিয়েন্সের পরে এই আমার ফোর্সটাকে গুছাইয়া তাদেরকে সেন্ট পার্সেন্ট ইফেক্টিভ করা। এই জায়গাটায় কিন্তু আমি এখনও সন্তুষ্ট না আপনারা- যাই বলেন। আমি এখনও এই প্রক্রিয়ায় আছি।”
শনিবার গেন্ডারিয়ায় ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স পরিদর্শনে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘খুন ও সহিংস ঘটনার’ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আইজিপি নিজেদের ‘চেষ্টার’ কথা তুলে ধরেন।
গেল বছরের ৫ অগাস্ট গনঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারা দেশে থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দমন-পীড়ন ও সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায়ও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশের হিসাবে, আন্দোলন চলাকালীন বাহিনীর ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পুলিশকে আবার কাজে ফেরাতে অনেক সময় লেগে যায়; তার জের এখনো চলছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘চিহ্নিত’ অপরাধীদের এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নানা ‘প্রতিরোধমূলক’ উদ্যোগের কথা বলেন পুলিশ প্রধান বাহারুল।
“আমরা এই চেষ্টাটা করে যাচ্ছি। আপনারা বলতে পারেন, সেন্ট পার্সেন্ট সফল হইনি। মেবি আমরা ৫০ ভাগও সফল হয়তোবা হইনি। যে ধরনের বিস্তৃত দেখা যাচ্ছে…আমাদেরকে উপায় খুঁজতে হবে।”
পরিস্থিতির উত্তরণে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে সহায়তা চাইবেন কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, “সব দলেরইতো আমরা সাহায্য চাই।”
বিভিন্ন ঘটনায় জড়িতদের ‘শাস্তিস্বরূপ’ তাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়াকে ‘পজিটিভ জিনিস’ বলে বর্ণনা করেন তিনি।
বাহারুল বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং ঐতিহাসিক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। এইখানে আমরা সর্বক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা চাইব।”
একটা গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সহযোগিতা’ ছাড়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।