
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ‘বোমা’ থাকার খবরে চরম নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। পরে ফ্লাইটে থাকা সব যাত্রী এবং ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে নিরাপত্তা বাহিনীদের তৎপরতার পর কোনো ঝুঁকি না থাকায় ফ্লাইটটি এখন তার গন্তব্য কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডিজিএম লিগ্যাল এফেয়ার্স ও ম্যানেজার পাবলিক রিলেশন্স (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আল মাসুদ খান জানিয়েছেন, কাঠমুন্ডু ফ্লাইটের সিকিউরিটি চেক সম্পন্ন করে লাগেজ এবং যাত্রীদের অন বোর্ড করানো হয়েছে। এখন এয়ারপোর্ট এটিসি ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন পাইলটগণ। এটিসি ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গেলেই বিমানটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
এর আগে শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে বিমানের বিজি ৩৭৩ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ফ্লাইট ছাড়ার আগে অজ্ঞাত একটি সূত্র থেকে বোমা থাকার হুমকি আসে। উড়োজাহাজটি তখন ১৪২ যাত্রী ও ৭ জন ক্রু নিয়ে ট্যাক্সি করছিল। এরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতায় নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্থাটির চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স ও এভসেক দ্রুত বিমানের চারপাশে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তীতে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে উড়োজাহাজের অভ্যন্তর ও লাগেজ পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে। সব যাত্রীদের নিরাপদে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে স্ক্রিনিং শেষে লাউঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপিতে আরও জানানো হয়, বিমানবন্দরের সব বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবিএম রওশন কবীর যুগান্তরকে জানান, ফ্লাইটটি যখন উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনকলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। তাৎক্ষণিক যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সবাইকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি জানান, বিমানবন্দরের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথম দফায় তল্লাশি করে বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আবারও তল্লাশি চালানোর পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফ্লাইট ছেড়ে দেওয়া হবে।