
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে আজ। আর এ উপলক্ষ্যে রাজশাহীর মিষ্টির দোকানগুলোতে কয়েক দিন আগেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতির তৎপরতা। ফল প্রকাশের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আত্মীয়স্বজন শিক্ষক ও প্রতিবেশীদের মিষ্টিমুখ করানোর রেওয়াজ নতুন নয়। তাই এবারো প্রত্যাশিত বিক্রির আশায় দোকানিরা নিয়েছেন বাড়তি প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রাজশাহীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, সাগরপাড়া ও বিনোদপুরের মিষ্টির দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে রয়েছে মজুতের ভরপুর আয়োজন। রঙ-বেরঙের ট্রেতে রসমালাই, রসগোল্লা, লাড্ডু, চমচম আর সন্দেশের স্তূপ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ অর্ডার অনুযায়ী তৈরি করছেন বিভিন্ন ডিজাইনের মিষ্টির বক্স। ক্রেতার আগমনে জমজমাট এসব দোকান।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিষ্টির দাম রয়েছে ২৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামের মিষ্টির প্রতি। দাম তালিকা ঘেঁটে জানা গেছে, হাসিমুখি, কমলা সুন্দরী, এস গোল্লা ও চমচম বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। কালোজাম, লালমন ও রসকলম ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কিছু প্রিমিয়াম সন্দেশের দাম ৫৫০ থেকে ৬৪০ টাকা পর্যন্ত।
রাজশাহীর বিখ্যাত ‘মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের এক বিক্রেতা জানান, ফল প্রকাশের দিনে বিক্রি সাধারণ দিনের তুলনায় তিনগুণ বেড়ে যায়। তাই আমরা আগের রাত থেকেই বাড়তি দুধ, চিনি, মাওয়া এবং অন্যান্য উপকরণ মজুত করেছি। দোকানে অতিরিক্ত কর্মচারীও নিয়েছি।
নবরূপ মিষ্টি ভাণ্ডারের বিক্রেতা খলিল উদ্দিন বলেন, বেচাকেনা বাড়বে এটা জানা আছে। তবে আগের মতই প্রস্তুতি রেখেছি, বাড়তি কিছু করিনি।
শুধু বিক্রেতারাই নয় আগাম প্রস্তুতিতে রয়েছে ক্রেতারাও। নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা আসগর আলী মিষ্টি কিনতে এসে বলেন, আমার ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আশা করছি ভালো করবে। তাই আগেই কিছু মিষ্টি নিয়ে রাখলাম। দামও আগের মতোই আছে।
একইভাবে ফারুক হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বৃষ্টির মধ্যেও মানুষ মিষ্টি কিনছে। ফল প্রকাশের পরে আরও ভিড় বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
এসএসসি পরীক্ষার ফল মানেই কারও জীবনের নতুন অধ্যায়। সেই আনন্দে মিষ্টি যেন এক আবশ্যিক অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। রাজশাহীর বাজারগুলোয় মিষ্টির এমন প্রস্তুতি বলছে, ফলাফলের আগে থেকেই শহরজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।