
রাজধানীর শাহবাগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিস কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা না পেয়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আহতদের দাবি, দ্বিতীয় দফার সহায়তার টাকা দেয়ার কথা বলা হলেও ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বারবার ঘুরাতে থাকে। আজ টাকা দেয়ার শেষ তারিখ থাকলেও, ফের জানানো হয় টাকা দেয়া সম্ভব নয়।
এতে উত্তেজিত হয়ে আহত ব্যক্তিরা অফিসে তালা লাগান এবং ফাউন্ডেশনের কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২০-২৫ জন আহত ব্যক্তি। অফিস কক্ষে ভাঙচুরের পর সেখানে দেখা যায়, চেয়ার এলোমেলো, দরজার কাচ ও পানির ফিল্টার ভাঙা, মেঝেতে কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে।
আহত মামুন হোসেন বলেন, আমার মাথার ভেতরে গুলি। ১১ মাস ধরে চিকিৎসাধীন। আমাদের জন্যই তো এই ফাউন্ডেশন, অথচ আমাদের বারবার ঘোরানো হচ্ছে। আজকেও যখন পুলিশ আমাদের মারল, তখন ফাউন্ডেশন থেকে কেউ এগিয়ে আসেনি।
একইভাবে আহত সাভার সরকারি কলেজের ছাত্র নাজমুল হোসেন বলেন, সাত মাস ধরে ঘুরছি। যাদের ভেতরের লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক, তাদের আগে টাকা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত হয়েও আমরা দ্বিতীয় ধাপের টাকা পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল আকবর বলেন, আহতদের অনেকেই মানসিক ট্রমায় আছেন। তাদের রাগ–ক্ষোভের প্রেক্ষাপট আছে। আমরা অভিযোগ করছি না। গুরুতর আহতদের অনেককেই দ্বিতীয় ধাপে টাকা দেয়া হয়েছে, বাকিদেরও ধাপে ধাপে দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় ধাপে ৮০৬ জনকে টাকা দেয়া হয়েছে এবং ৭ কোটি টাকার তহবিল থেকে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি ৩৯ জন ভুয়া আহত ও চারজন শহীদের নাম বাতিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভাঙচুরের পর আহতদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ফাউন্ডেশন। আলোচনার শেষে সিইও কামাল আকবর জানান, আগামী রোববার থেকে দ্বিতীয় দফার টাকা দেয়া শুরু হবে।