
রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতিকে আবারও প্রাণবন্ত করে তুলতে ফিরে আসা জুলাইয়ে দেওয়ালিকা ও গ্রাফিতি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, টঙ্গীর একদল শিক্ষার্থী। তারা চাইছে দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন আবারো জুলাই স্মরণে কিছু না কিছু করেন, যাতে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। নতুন করে জুলাই গ্রাফিতি দেখে শহীদদের এবং আহতদের আকাঙ্খা পূরণে কাজ করুক অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই আমাদের নতুন করে আবারও দ্বিতীয় স্বাধীনতার মাস এই ভাবনা থেকেই গ্রাফিতি মুছে যাওয়া দেওয়ালজুড়ে রঙতুলিতে জুলাইয়ের ইতিহাস আঁকছেন তাহমীদ, মেহেদী, সায়েম, মুহিত, রাজিন, রবিন ও আব্দুল্লাহরা। তারা সবাই তা'মীরুল মিল্লাত টঙ্গীর শিক্ষার্থী। নিজ উদ্যোগেই শুরু করেছেন দেওয়ালচিত্র ও সচেতনতামূলক বার্তা ছড়ানোর কর্মসূচি। তাহমিদ জানান, আমরা জুলাই বিপ্লবের অংশ!ফিরে আসা রক্তাক্ত জুলাইয়ের মাসজুড়ে নানা পথ ও দেয়ালে বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে চাই সচেতন সমাজ। এই যাত্রায় আমাদের সাথেই থাকো।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শুধু একটি মাস নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে গণতন্ত্র, প্রতিবাদ ও মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীকে। ২০২৪ এর রক্তাক্ত জুলাইয়ের বিজয়ের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন জুলাই স্মরণে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। তবে সময়ের প্রবাহে অনেক দেওয়ালচিত্র ও স্মারকচিহ্ন মুছে গেছে। সেই অতৃপ্তি থেকেই নতুন প্রজন্ম আবারও কলম ও তুলির মাধ্যমে ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনতে চায়। শিক্ষার্থীদের দাবি, শুধু জুলাই মাস নয়, সারাবছরই দেশের মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত থাকা উচিত সকলের দায়িত্ব।
রঙতুলি আর সাহসিকতায় ইতিহাসকে পুনরায় জীবন্ত করে তোলার এ প্রয়াস নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। তা'মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীদের এই দেওয়ালচিত্র আন্দোলন যেন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে এই প্রত্যাশায় পথচলা তাদের অব্যাহত।বিশেষত এমন এক সময়ে, যখন ইতিহাস বিকৃতির আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন তরুণদের এ উদ্যোগ আশাব্যঞ্জক।