
Rahmat Ullah(রহমত উল্লাহ)
বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়ায় জয়েন করেছিলাম ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর। ভেবেছিলাম, হয়তো মিডিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবো, আর না হয় আমাকে সরে আসতে হবে। লুৎফর রহমান হিমেল ভাই গ্রুপের অনলাইন পত্রিকা বাংলানিউজে সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন, সে কারণে ইতিবাচক পরিবর্তন যে আসবে সেই আশা নিয়ে এগুচ্ছিলাম। কিন্তু ম্যানেজম্যান্টের কিছু লোক সবকিছু আটকে দিল। এরমধ্যেও জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে হিমেল ভাই একগুচ্ছ পরিকল্পনা সাজালেন। ৫০ জন শহীদকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানাবেন তিনি। ক্যামেরাসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিও অর্ডার দেওয়া হল। কিন্তু সেই সরঞ্জামাদি কোন এক অদৃশ্য কারণে আর মাসের পর মাস গেল দেওয়া হল না।
এরমধ্যে হঠাৎ একদিন দেখলাম, হিমেল ভাইকে সম্পাদক পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাকে দেওয়া হয়েছে এডভাইজার এন্ড কোঅর্ডিনেটর পদ! তার কিছুদিন পর জানি না কোন কারণে আমাকেও হঠাৎ টার্মিনেট করা হয়েছে! আমি এখন পর্যন্ত তার কোনো কারণ জানতে সক্ষম হইনি। যেহেতু আমি পার্মানেন্ট হইনি, তাই ৬ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তাই আমি কোনো পদক্ষেপও নেইনি। আমার অপরাধটা হয়ত ছিল এই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করে মিডিয়া যেন তার নিরপেক্ষ ভুমিকাটা অন্তত রাখতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা।
জুলাই বিপ্লব নিয়ে সার্বিক পরিকল্পনার কথা বসুন্ধরার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েছিলাম। দুঃখজনক হলেও বাস্তব হলো, বসুন্ধরা মিডিয়া এখনো নিয়ন্ত্রণ করে জুলাইয়ে গণহত্যা মামলার একজন আলোচিত আসামি। তাকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকবার ধরে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
যাই হোক এখন পুরো বসুন্ধরার মিডিয়া ওয়ান ইলেভেনের মতো এই সরকার নামাতে মরিয়া হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করাই যেন তাদের কাজ। আর একটা কথা বলে রাখি, আমাকে সরানোর পিছনে আর একটা বড় কারণ এটাও হতে পারে আমি বলেছিলাম নাম ধরেই যে আপনার মিডিয়া নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ওই আসামীর মতো এসব ব্যক্তিদের সরাতে হবে, এটাও হয়তো কাল হয়েছিল। যা হোক আজকে ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সরাসরিই বসুন্ধরার মিডিয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এটাই এখন বাস্তবতা।
বসুন্ধরার মিডিয়া এখনো নিয়ন্ত্রণ করে সেই আ'লীগ দোসররাই। মিডিয়া সংস্কার করতে হলে বসুন্ধরা থেকেই শুরু করতে হবে।
