Image description

Nabila Idris (নাবিলা ইদ্রিস)


 
বিপ্লবের এক বছরের মাথায় অনেকের মনে অনেক হতাশা জমেছে তা অনস্বীকার্য। আমার নিজেরও খুব ফ্রাস্ট্রেটিং লাগে - বাহিনীগুলোয় এত প্রতিবন্ধকতা কেন?
সরকারি সিস্টেম এত স্লো কেন? এত সাক্ষাৎ বেইমান এখনও বহাল তবিয়তে স্বপদে দণ্ডায়মান কেন? সত্যি বলতে রাত যত গভীর হয় তত আমার মনে হতাশা বাড়ে (সকালের মধ্যে অবশ্য ফিলিংটা আন্ডার কন্ট্রোল নিয়ে আসি টিল দ্য নেক্সট নাইট!)।
 
কিন্তু এটাও অনস্বীকার্য যে ১৫-১৬ বছর ধরে সৃষ্ট একটা কমপ্লিটলি ব্রোকেন সিস্টেম থেকে রাতারাতি অনেক কিছু অর্জন করা কঠিন। আশা করাটা স্বাভাবিক - দরকারও বটে!
- কিন্তু সব কিছু মিলবেই, এমন গ্যারান্টি হয়তো কখনই দেওয়া সম্ভব ছিল না। সে তুলনায় আমাকে যেটা আশাবাদী করে তা হল যখন দেখি কত শত মানুষ এখনও নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মতো তাদেরকেও নিশ্চয়ই হরদম নিরাশা পেয়ে বসে, তবুও তারা পরদিন সকালে উঠে ভেঙে পড়া একটা সিস্টেমকে দাঁড় করাতে পুনরোদ্যমে নামেন।
 
যেমন, আজকে ছুটি হওয়া সত্ত্বেও আমাদের অফিসে কাজ চলছে। সকাল থেকে সরকারি যে কয়টা অফিসে ফোন দিলাম এবং সশরীরে মিটিং করলাম, সবখানে যে কর্মকর্তাদের আমরা ট্রাস্ট করি এবং যাদের সাথে কাজ করি - তারাও সবাই দেখলাম পুরো দমে কাজ করছেন।
 
একজন তো উত্তেজিত হয়ে কালকেও একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে আগামীকালের ছুটিটাও মাটি করলেন (উইথ মাই এনথুসিয়াস্টিক সাপোর্ট, অফ কোর্স!)।
 
এগুলো সবই ভলান্টারি। কেউ এই এক্সট্রা এফোর্ট দিতে বাধ্য নয়। কিন্তু অনেকেই জেনুইনলি ফিল করছেন যে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য হাতে খুব একটা সময় অবশিষ্ট নেই, তাই যতটুকু অ্যাচিভ করা সম্ভব ততটুকু অ্যাচিভ করতে বাধা উপেক্ষা করে ফাইটটা দিয়ে যেতে হবে।
 
গত ১৬ বছরে এমন স্পৃহা কি আমরা কেউ দেখেছি? দেখিনি। অতএব যারা আজও সিনসিয়ারলি নিজেদের দায়িত্ববোধে এই কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মনোভাবকে ছোট করে দেখার অবকাশ আমি দেখি না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা... ইত্যাদি।