
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন যে আইন এসেছে, তা কোনোভাবেই প্রেস ফ্রিডমে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীতে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সাংবাদিকতা এক সময় অনেক বেশি সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা একটি মুক্ত এবং ভয়ডরহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে চাইছি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, এ কয়েক মাসে সরকার চেয়েছে কোনো সিক্রেট এজেন্সি যেন সাংবাদিকদের ফোন না দেয়। ভুল সংবাদ হলে তা বলার আলাদা উপায় রয়েছে, হুমকি বা গুমের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসাই সরকারের লক্ষ্য।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার সাংবাদিকতা তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি বাইরের এক্সপার্ট দিয়ে ওই সময়ের সাংবাদিকতা মূল্যায়ন করতে।
শফিকুল আলম বলেন, প্রেস ফ্রিডম মানে মিথ্যা বলার গ্যারান্টি নয়। যে ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য ছড়ায়, তাকে প্ল্যাটফর্ম দেওয়া কেনো উচিত?
প্রত্যেক মিডিয়া হাউজের সোশ্যাল মিডিয়া নীতিমালা থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া টিভি সাংবাদিকতার ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ বলেন, কমিশন যেসব সুপারিশ দিয়েছে, সরকার যেন সেগুলোর কিছু অন্তত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে।
অপর সদস্য অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, একটি ভালো নির্বাচন করতে হলে গণমাধ্যমকে বাদ দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।