
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র মুদি দোকানির কাছে বড় ভাইয়ের জন্য চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। তবে, এ ঘটনায় প্রক্টর অফিসে ব্যবসায়িক নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ দাখিলের পরে অজানা কারণে আবার অভিযোগ তুলে নিয়েছে ভুক্তভোগী দোকানী আব্দুল্লাহ আহাদ। অভিযুক্ত দুই নেতা হচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক উল্লাস মাহমুদ এবং ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের বিপরীত পাশে একটি ছোট দোকান চালান আব্দুল্লাহ আহাদ। ঈদের আগে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তার দোকানের বেশিরভাগ মাল নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য পরবর্তীতে তিনি আর সহসাই দোকান চালু করতে পারেননি। এরপরে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা উল্লাস তাকে দেখা করতে বলেন এবং দোকান না করলে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন। দোকান ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রদল নেতা উল্লাস তাকে বড় ভাইয়ের জন্য কিছু টাকা দিতে বলেন।
এ ঘটনায় ব্যবসায়িক নিরাপত্তা চেয়ে প্রথমে প্রক্টর বরাবর আবেদন জমা দেন আহাদ। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ছাত্রদল কর্মী উল্লাস আমাকে দোকান বন্ধ করার কথা জানায়। দোকান বন্ধ না করা হলে ৫ই জুলাই দুপুর ১টার দিকে তার সাথী সাব্বির নামের একজনকে সাথে নিয়ে আমার দোকানে আসে এবং তাদের কথামত দোকান বন্ধ না করায় চাঁদা দাবি করে। যদি চাঁদা না দিই, “পরবর্তীতে তোমাকে দেখে নিব” বলে হুমকি দেয়। এমতাবস্থার আমি ব্যবসায়িক কাজে অনিরাপদ বোধ করছি।’
অভিযোগপত্র
কিন্তু প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অজানা কারণে অভিযোগ তুলে নিতে আবেদন জানায় আহাদ। সেখানে সে বলে, ‘ছাত্রদল কর্মী উল্লাসের- সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে প্রক্টর স্যার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে, উক্ত অভিযোগ পত্রটি উত্তোলন করতে চাই।’
অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন
কেন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আর কেনই বা তুলে নিতে চাচ্ছেন তা জানতে চাইলে ভুক্তভোগী দোকানী আহাদ বলেন, ‘আমাকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য সেভাবে কেউ চাপ দেয়নি। উল্লাস ভাই আমার কাছে আসছিল, এসে দুঃখ প্রকাশ করে বলছেন যে “তুই আমাদের ছোট ভাই, ক্যাম্পাসে দোকানদারি কর, আর কোন সমস্যা হবে না”। তাদের আশ্বাস পেয়ে আমি অভিযোগ তুলে নিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘উক্ত দোকানী ব্যবসায়িক নিরাপত্তা চেয়ে ৪টার পরপর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সে তা প্রত্যাহারের আবেদন দেয়। সে কেন আবেদন দিল, আর কেন তুলে নিতে চাচ্ছে সেটা সেই ভালো বলতে পারবে।