
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের কক্ষে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার কথপোকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে
ওই ভিডিওতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে উপচার্যের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে উপাচার্যকে উদ্দেশ করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, “আপনি নিজ যোগ্যতায় বসেননি (উপাচার্য পদে), আপনাকে আমরা বসিয়েছি, আপনি আমাদের কথা শুনতে বাধ্য।”
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ৪ মিনিটের একটি ভিডিওতে এমন কথপোকথন উঠে এসেছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের পদোন্নতিকে ঘিরে শুক্রবার বিকেলে উপাচার্য ইয়াহইয়া আখতারের কার্যালয়ে কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে এই বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভিড়ে দাঁড়ানো অন্তত দুজন শিক্ষার্থী এমন কথা বলেছেন। তাদের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শাখাওয়াত হোসেন ও আরেকজন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক নেতা ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী তাহসান হাবীব বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম প্রধম আলো।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথমস আলো জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির সাক্ষাৎকার ছিল শুক্রবার। এই সাক্ষাৎকার বাতিল ও কুশল বরণকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে দুপুরের পর থেকেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদকেও ওই অবস্থান কর্মসূচিতে দেখা গেছে। সেখান থেকেই সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ে যান তারা। কথোপকথনের ভিডিওটি সেই সময়কার।
এদিকে, ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। একজন উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে ঢুকে এসব কোনো শিক্ষার্থী এভাবে কথা বলতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নও রাখছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তৎকালীন প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন। এরপরই একই দিনে পদত্যাগ করেন উপাচার্য, দুই সহ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক, প্রক্টরিয়াল বডির ১০ সদস্য ও ১৪টি হলের প্রাধ্যক্ষ।