Image description

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম মূল লক্ষ্য এবং এ পরিবর্তন এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে তিনি গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকাসহ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

স্ট্যাটাসে শুরুতে তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের জীবনে ফিরে আসার পর চারদিন কেটে গেছে। এ মাস আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি, আবার জাগিয়ে দিয়েছে আশা ও স্বপ্নের নতুন আলো।’

 

তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের জাতি পুনর্গঠনের নতুন আশা জাগায়, কারণ এখন আমাদের গণমাধ্যমও অবশেষে এটি নিজেদের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। গত চারদিনে আমি কিছু ভালো প্রতিবেদন দেখেছি গণমাধ্যমে, যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কেন জুলাই অবশ্যম্ভাবী ছিল। কেউ কেউ গত কয়েক মাসের অর্জন নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছেন। তবে তা স্বাভাবিক। প্রত্যাশা বেশি থাকলে হতাশাও গভীর হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে— কোনো সরকারি নির্দেশ ছাড়াই। এটিও একটি বড় অগ্রগতি। এটি তাদের জন্য নিজেদের সংশোধনের সুযোগ। তখনকার বিদ্রোহের সময় তাদের কাছে সব তথ্য ও হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ ছিল, কিন্তু তারা তা প্রচার করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে সেই জুলাইকে নতুন করে ফিরে দেখার, এবং যা দেখাতে পারেনি, তা জনগণের সামনে তুলে ধরার। ভালো বিষয় হলো, তারা সেটাই করতে শুরু করেছে।’

‘আমাদের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল এখনো সেই স্বৈরাচারী শাসনের সময় তাদের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেনি। কিছু টিভি ও পত্রিকার মালিক সরাসরি সহিংসতা উসকে দিয়েছিলেন। যারা তা করেছেন, তারা অবশ্যই এর ফল ভোগ করবেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সবসময়ই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। একজন ব্যক্তির দোষে আমরা কোনো গণমাধ্যমকে ক্ষতি করতে চাইনি।’

 

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা জানতাম টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে। সাংবাদিকরা আমাদের সঙ্গে অনেক গল্প শেয়ার করেছেন, কীভাবে তাদের তথ্য গোপন রাখতে বাধ্য করা হতো, কীভাবে সরকারের আয়োজিত অনুষ্ঠান প্রচারে চাপ দেওয়া হতো। আমরা সচেতনভাবে এমন চর্চায় লিপ্ত হইনি এবং সাংবাদিকদের যেন তেমন অনুভূতির শিকার না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম মূল লক্ষ্য এবং এ পরিবর্তন এখন স্পষ্টভাবেই দৃশ্যমান।’