
আবারও শুরু হয়েছে জুলাই। ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালিয়ে শেখ হাসিনা পালালেও দেশে রয়ে গেছে স্বৈরাচারের দোসররা। গণঅভ্যুত্থানে উত্তরা ছিল পাওয়ার হাউজ। ছাত্রলীগ যুবলীগ প্রশাসনসহ কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি উত্তরার ছাত্রজনতাকে। গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল ছাত্রজনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর উত্তরায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯২ জন শহিদ হন। উত্তরাতে তাদের তালিকা প্রকাশ করে বিলবোর্ডে লাগায় ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’। সেই বিলবোর্ড থেকে শহিদদের ব্যানার ছিড়ে ফেলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এর আগেও একবার তালিকা ঝুলানো হলে রাতের অন্ধকারে তা ছিড়ে ফেলা হয়।
জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স জানায়, গতকাল গভীর রাতে ছিড়েছে এই ব্যানার। এর আগেই উত্তরায় স্থাপিত সকল ব্যানার ছিড়ে ফেলেছিল ,মুগ্ধ মঞ্চে কালি দিয়েছিল। সবার পরিচয়সহ সিসিটিভি ফুটেজ দেয়ার পরও গ্রেফতার হয়নি কেউ। প্রশাসন এই ব্যর্থতার কারণে ওরা আরো সাহস পাচ্ছে। ‘তোরা একটা ছিঁড়বি আমরা দশটা বানাবো’।
উল্লেখ্য, উত্তরায় শহীদ ৯২ জনের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন চাকরিজীবী, ১০ জন ব্যবসায়ী, ৫ জন গাড়ি বা রিকশাচালক, ২ জন মসজিদের ইমাম, একজন ডাক্তার, ১১ জন অজ্ঞাত এবং অন্যান্য ১৯ জন।
শহিদদের মধ্যে ১৮ জুলাই ২০ জন, ১৯ জুলাই ২২ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন, ৫ আগস্ট ৪২ জন এবং ৭ আগস্ট ১ জন শহীদ হন। শহিদদের মধ্যে ২৬ জন ২১-৩০ বছর বয়সী, ১৮ জনের বয়স ৩১-৪০ বছর, ১০-২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৭ জন, ৪১-৫০ বছর বয়সী ১১ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১০ বছরের নিচে শহীদ রয়েছেন একজন করে।