Image description

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের কারণে ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউপি সদস্যের স্ত্রী রেহানা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১২টার দিকে শহিদুলের বাড়িতে ডাকচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে দেখে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবিকে পুকুর পাড়ে কুপিয়ে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

গুরুতর আহত রেহেনা বেগম জানান, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ আরও ৪-৫ জন তাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে তার স্বামীকে এবং ভাবিকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তাকেও মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করেছে। ইউনুসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ ছিল বলেও জানান তিনি। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন জাহান জানান, রাজনৈতিক ও পারিবারিক বিরোধে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শহিদুলের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।