
স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে দুর্নীতি-অনিয়ম, ব্যাংক লুট ও অর্থপাচারের ম্যাধমে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন মতে, গড়ে প্রতি বছর শুধু পাচারই হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার। হাসিনার ১৫ বছরে মোট পাচার হয়েছে ২৪০ বিলিয়ন ডলার, এই অর্থ বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর হাসিনার এই অনিয়ম-দুর্নীতি পাচারে জড়িত ছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওয়ামী সুবিধাভোগী অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও দেশের বড় কিছু শিল্পগ্রুপ। বিশেষ করে আবাসন খাতের বড় একটি শিল্প গ্রুপ, জমি দখলদার বড় একটি গ্রুপ, পোশাক খাতের মাফিয়া একটি গ্রুপসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আরো কিছু গ্রুপ। যাদের উদ্দেশ্য দেশের অর্থনীতিতে ধস নামানো।
অভ্যুত্থানের পর এই মাফিয়া গ্রুপগুলোর ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকিসহ অর্থপাচারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি আচ করতে পেরে এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অসাধু চক্রটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ এনবিআরকে অচল করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। অথচ দেশের সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন হয়রানি থেকে বাঁচতে এনবিআর সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার এনবিআর সংস্কারে হাত দেয়। আর এরপর থেকে একটি সুসংগঠিত, সুযোগসন্ধানী কর্মকর্তাদের গ্রুপ তাদের ক্ষমতা ও অর্থ ভাগাভাগী বন্ধ হয়ে যাবে এবং স্বৈরাচার হাসিনার দোসর একটি মাফিয়া গ্রুপ ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে আন্দোলনে ইন্ধন দিয়ে অর্থনীতি ধসের পাঁয়তারা করছে। একই সঙ্গে এনবিআর কর্মকর্তারা যারা পূর্ববর্তী সরকারে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বারবার পদোন্নতি, ভালো স্থানে পদায়ন, বদলি বাণিজ্য, আর্থিক ও প্রশাসনিক সুবিধা নিয়ে অর্থের পাহাড় গড়ছিলেন, তারা আগামী দিনে বিপদ আচ করতে পেরে ‘আন্দোলন’ নামক চাপ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই আন্দোলন রাষ্ট্রের প্রশাসনিক অঙ্গনে একটি শক্তিশালী সুবিধাভোগী নেটওয়ার্কের প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যে বলেছেন, এনবিআরের সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী আন্দোলনকে উৎসাহিত করছেন। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে কিছু ব্যবসায়ী বিশেষ সুবিধা পেতেন এবং সংস্কারের কারণে তাদের সেই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। অবশ্য এই অভিযোগের বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সমস্যা সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এছাড়াও এসব স্বার্থান্বেষী গ্রুপের নাম প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার এবং এ জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেয়া উচিত। না হলে দেশের আমদানি ও রফতানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসঙ্কেত। একই সঙ্গে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে প্রতিদিন দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার আমদানি-রফতানি ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে শনিবারের মধ্যে আলোচনা করে এর সমাধান চেয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতারা। এ ছাড়াও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে যৌক্তিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন দেন তারা। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনে পোশাক খাতের অনেক উদ্যোক্তা ঝরে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি এনবিআরের সংস্কার হতেই হবে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, এতদিন আওয়ামী দোসর যারা হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছিলেন ওই সব মাফিয়া ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারায় নেমেছেন। লুটেরাদের বাঁচাতে অর্থনীতি এবং ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস জুনকে বেছে নিয়েছেন। হাসিনার লুটেরাদের ইন্ধনে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আবারো বিপাকে ফেলতে চাইছেন। এনবিআরের সঙ্কটকে ক্ষমতা ও অর্থ বণ্টন নিয়ে ঝামেলা উল্লেখ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জানান, দ্রুত সমাধান না হলে পুরো জাতি সঙ্কটে পড়বে। তিনি বলেন, এতদিন অসাধু কর্মকর্তারা সরকারকে জ্বালিয়েছে, এখন সবাইকে জ্বালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ব্যবসায়ী ইনকিলাবকে বলেন, কর্মকর্তাদের যারা আন্দোরনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ রকম এক ডজন কর্মকর্তার তালিকা করে তাদের সম্পদের হিসাব নিলেই আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ তারা মনে করছে, আগামী দিনে এসব কর্মকর্তাদের ক্ষমতা কমে যাবে। আয় বন্ধ হয়ে যাবে। অর তাই আন্দোলনই তাদের একমাত্র উপায় ।
সূত্র মতে, সারা দেশে রাজস্ব সংগ্রহ করে এনবিআর। মূলত তাদের সংগৃহীত রাজস্ব দিয়ে সরকার চলে। এনবিআরের কার্যক্রমে বিঘœ ঘটলে দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়। প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। কিন্তু দীর্ঘদিন এনবিআরে কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বিরাজমান ছিল। যাদের ইশারায় চলত এনবিআর। গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার হাসিনা এনবিআরে একটি আওয়ামী বলয় তৈরি করে রেখেছিলেন। তারা ভালো ভালো ব্যবসায়ীদের হয়রানি এবং জিম্মি করে হাজার হাজার কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে দেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা পাচারে সহযোগিতা করেছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা ভারতে পলায়নের দেশের অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে খ্যাত এনবিআরের সংস্কারের অলোচনা উঠে আসে। ব্যবসায়ীদেরও দীর্ঘদীনের দাবি ছিল এনবিআরের সংস্কার। পাশাপাশি জিডিপির তুলনায় কর আদায়ের অনুপাত বাড়ানো, কর ছাড় যৌক্তিক পর্যায়ে নেয়া এবং আইএমএফের ঋণচুক্তির শর্ত পূরণ করতে গিয়ে এনবিআর সংস্কার কার্যক্রমে হাত দেয় সরকার। এই ধারাবাহিকতায় এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দু’টি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। কিন্তু কর্মচারীদের আন্দোলনে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ স্থগিত হলেও সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল থেকে কর্মচারীরা সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন। ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু আজো চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে বিভিন্ন বন্দরে খালাস ও রফতানির অপেক্ষায় থাকা পণ্যর শুল্কায়ন ও দাফতরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। যা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীসহ বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, কলম বিরতিতে দেশের আমদানি-রফতানি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রফতানিকারকরা সময়মতো আমদানির কাঁচামাল খালাস করতে পারছেন না। ফলে দেশের রফতানিতে বর্ধিত লিড টাইম আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া সমুদ্র বন্দর ও বিমানবন্দরে পণ্য পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে। আংশিক কর্মঘণ্টার কারণে এক কর্ম দিবসের মধ্যে প্রত্যাশিত ইউপি পেতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতারা আন্দোলনরত এনবিআর কর্মকর্তাদের আজকের (শনিবারের) মধ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। এদিকে দেশের অর্থনীতিকে বিপাকে ফেলতে অসাধু চক্রটি ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস জুনকে বেছে নিয়েছেন। সাধারণত জুন-জুলাই মাসে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, এগ্রো প্রোসেসিং, প্লাস্টিকসহ সব রফতানিমুখী শিল্পের অধিকাংশ কারখানাতেই আগামী শীত মৌসুমের পণ্য তৈরির জন্য চাপ রয়েছে। এই পিক সিজনে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলোর অচলাবস্থার কারণে সঠিক সময়ে পণ্য রফতানি করতে না পারলে বায়াররা ক্রয়াদেশ বাতিল ও ভবিষ্যতে নতুন ক্রয়াদেশ প্রদানে অনাগ্রহী হতে পারে। আন্তর্জাতিক রফতানি বাজার কখনো বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করবে না। এই সব অর্ডার পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যাবে, যা হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। এছাড়াও উৎপাদিত পণ্য সঠিক সময়ে না পাঠাতেপারলে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর তাই এই সময়কেই হাতিয়ার বানিয়েছে চক্রটি।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হোসেন খান বলেন, এনবিআর কর্মচারীদের আন্দোলনে দৈনিক আড়াই হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক কর্মকা- ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, চলমান স্থানীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা চাপে আছেন। নতুন করে এনবিআরের অচলাবস্থার কারণে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে। ‘এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী এ থেকে ফিরে আসা উচিত।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, এনবিআরের অন্তর্ভুক্ত দফতরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আমদানি-রফতানি ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমদানি-রফতানিকারকরা যথাসময়ে কাঁচামাল খালাস করতে পারছেন না। ফলে দেশের রফতানিতে বর্ধিত লিড টাইম আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া পোর্টে/বিমান বন্দরে আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্য পড়ে থাকার দরুণ বৃষ্টি/রোদে নষ্ট হচ্ছে। আংশিক কর্মঘণ্টার কারণে এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাশিত ইউপি পেতে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। যাতে করে রফতানি বিলম্বিত হচ্ছে। সৃষ্ট জটিলতার কারণে কিছু কিছু বায়ার ইতোমধ্যে এয়ার শিপমেন্ট ও রফতানি আদেশ বাতিলের হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি পোর্ট ড্যামারেজ নির্ধারিত রেটের চারগুণ হারে পরিশোধ করতে হচ্ছে যা ‘কস্ট অব ড্রইং বিজনেস’ বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এনবিআর শাটডাউনের কারণে আমদানি-রফতানির ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করবে না। যুদ্ধ ছাড়া কোন দেশের কাস্টমস বন্ধ থাকে, এটা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, আমরা অবশ্য এনবিআরের সংস্কার চাই।
অপরদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ কিংবা দেরিতে অফিসে উপস্থিত হলে সরকারি বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সতর্কতা জারি করেছে এনবিআর। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়েছে অধিকাংশ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ স্থগিত হলেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ২৮ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন এবং সারা দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেছে গতকাল শনিবার। এতে বিভিন্ন বন্দরে খালাস ও রফতানির অপেক্ষায় থাকা পণ্যর শুল্কায়ন ও দাফতরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। আজ রোববারও এ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরতরা। আর ব্যবসায়ীরা দ্রুত এ অবস্থার নিরসন দাবি করেছেন।