
১.) ব্যক্তি ইউনূস এবং ব্যক্তি তারেক।
দুর্দান্ত বিয়ের পাত্র দেখে কনে বাড়িতে যেমন কনে পক্ষ খুশিতে আত্মহারা হয়, বাংলাদশের একটা বড় অংশ একজন ৬০ আর একজন ৮৪ বছরের পুরুষের আচার ব্যবহার, পারস্পরিক সম্প্রীতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তাদের শিষ্টাচার দেখে বুঝেছেন দেশে একদল ভদ্রলোকেরা ক্ষমতার পালাবদল করছেন এবং করবেন। এটা দেড় দশক পরে ঘটছে এমন একটা ব্যাপার।
২.) দল হিসেবে বিএনপি।
বর্ষীয়ান রাষ্ট্র নায়ক ইউনূস সাহেব তারেক রহমানকে ডেকে এনে জাস্ট দুই জনই সব চাইতে গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত নেবার পরে, এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ সেই ফয়সালা মেনে নেবার পরে, দল হিসেবে বিএনপি তার অবস্থান দেখিয়েছে।
৩.) উপদেষ্টা মন্ডলী।
মোটা দাগে ইউনূস সাহেবের প্রায় পুরো উপদেষ্টা মন্ডলীর বিএনপির সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল আগে থেকেই।
নানা ধরনের টানাপোড়নে, এদের সফট ল্যান্ডিং এর ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।
মিটিং এর আগে এবং পরে ইউনূস সাহেবের লোক জনের সব কয়টা দাঁত বের করা হাসি দেখে বোঝা গেছে তারা হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
৪.) গ্রামীণ।
গ্রামীণ একাধিক লাইসেন্স নিয়েছে গত দশ মাসে। ব্যবসা হিসেবে তাদের এই সব লাইসেন্স নিয়ে টেনশন বাড়ছিল বিএনপির সাথে ইউনূস সাহেবের দূরত্ব বাড়ার সাথে সাথে। সেটা এক বারে কমেছে।
৫.) ব্যবসায়ী, বুরুক্রেসি, মিলিটারি।
এদের সবার অনেক অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে।
হেরেছেন কারা?
১.) জামাত এবং এনসিপি।
কথা বাড়াচ্ছিনা, ঝগড়ার জন্যে লিখছিনা, এটা এনালিটিকাল লেখা।
আপনারা বুঝে নেন
২.) বেশি সংস্কার , পরে নির্বাচন পার্টি।
বুঝে নেন।
৩.) এনারকিসস্ট , পাগলা রেভুলুশনারি
বুঝে নেন।
৪.) আওয়ামী লীগ
ইউরোপে তাদের প্রতিবাদ পুরা ফ্লোপ।
দেশে তাদের ছাড়াই পারস্পরিক শ্রদ্ধার সাথে দেশকে রাজনৈতিক ভাবে বাকি নেতারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
নো ওয়ান ইজ মিসিং এনি BAL