
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ লেকের মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্লী কনকচাঁপা ফেসবুক এক স্টাটাসে বলেছেন, নায়াগ্রা ফলস দেখেছি ছয়বার। যতবারই দেখি, ততবারই আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতার কথা ভেবে কেঁদেছি। আরো দেখেছি জর্জিয়ার চাটাহুচি ফলস। সেটা খুব ছোট ফলস, তবে সৌন্দর্যে অনন্য। আর এবার যাচ্ছি রায়ান ফলস দেখতে। বিস্ফারিত নয়নে অবলোকন করে একটা শব্দই মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিলো 'আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার'।
আমার দেশ পাঠকদের জন্য সংগীতশিল্লী কনকচাঁপার স্টাটাসটি হুবহু নিচে দেওয়া হলো-
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এসেছি ৩ জুন। অনুষ্ঠান আমাদের ৮ তারিখ। এর আগে পুরাই বেকার। খাইদাই, বেড়াই, আর ঘুমাই, আর নানারকম উচ্চমার্গীয় আলাপ করে কফির কাপে ঝড় তুলি হুদাই।
তো, নুরু ভাই আমাদের নিয়ে গেলেন রায়ান ফলস দেখাতে। খুব সহজ সরল মানুষ উনি। গাড়িতে গড়গড় করে ওনার জীবনের গল্প বলে যাচ্ছিলেন। জীবন ঘনিষ্ঠ সত্যনিষ্ঠ গল্প। বারবারই মনে হচ্ছিলো একটা গান:
'তীর ছেড়ে এসে
মাঝ দরিয়ায়
পিছনের পানে চাই
ফেলে আসা তীরে
কী মায়া যে টানে
মন বলে ফিরে যাই'
এর আগে উল্লেখ করার মতো ফলস দেখেছি নায়াগ্রা ফলস ছয়বার। যতবারই দেখি, ততবারই আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতার কথা ভেবে কেঁদেছি। আরো দেখেছি জর্জিয়ার চাটাহুচি ফলস। সেটা খুব ছোট ফলস, তবে সৌন্দর্যে অনন্য। আর এবার যাচ্ছি রায়ান ফলস দেখতে। বিস্ফারিত নয়নে অবলোকন করে একটা শব্দই মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিলো 'আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার'।
কী ভয়ানক সৌন্দর্য ও শক্তি নিয়ে বয়ে চলেছে রায়ান! তেরোটা দেশ পার হয়ে সুইজারল্যান্ডের এক পাথুরে স্থানে এসে নদী ঝাপিয়ে পড়ে ঝর্ণায় রূপান্তরিত হয়েছে। অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ। আর এই জলপ্রপাতকে একবারে বুকের কাছ থেকে দেখার জন্য যে ব্যবস্থা এই দেশ করে রেখেছে, তা ও দেখার মতো বিষয়। ধাপে ধাপে সিড়ি দিয়ে একদম শেষ পর্যন্ত নেমে ভিডিও করে ওঠার সময় টের পেলাম কত ধানে কত চাল!
অনেক বিস্ময়, অনেক ভালো লাগা, নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এলাম।