Image description
 

সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ কর্মীর হামলায় বিএনপি নেতা নিহতের ঘটনায় ওই যুবলীগ কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মৃত্যুর আগে ইলিয়াসের ভিডিওতে নাম আসা যুবলীগের সুমনের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।

হামলা গুরুতর আহত ইলিয়াস ময়োকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে একজনের প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস বলেন, সুন্দরগঞ্জের মজিবরের ছেলে যুবলীগকর্মী সুমন, ডাকুয়ার ছেলে যুবাইর ও তালেবের ছেলেসহ চারজন মিলে লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তাকে অন্তত ২০০ বার আঘাত করা হয়েছে।

গত রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) বিকেল চারটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই বিএনপি নেতা।
 

এর আগে শুক্রবার (৬ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ইলিয়াস মিয়া নিজ বাড়ির কাছাকাছি একটি মাছের খামার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় গানডার বিল খানাবাড়ি এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইলিয়াসকে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল চারটার দিকে তিনি মারা যান।

ইলিয়াস মিয়া সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। উপজেলার রামভদ্র খানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে তিনি।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, এখনো পর্যন্ত ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস