
নিজেদের পছন্দের লোককে স্লিপ না দেওয়ায় করা হয় হামলা। পিটানো হয় সচিবকে। ইউনিয়ন পরিষদে সচিবসহ কর্মকর্তাদের করা হয় অবরুদ্ধ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় কৃষকদল ও যুবদলের দু’নেতার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে জেলেদের চাল বিতরণ কালে এই ঘটনা ঘটে নোয়াখালী হাতিয়ার ১ নম্বর হরনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
হরনী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলেদের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও জাটকা অভিযানের চাল একসাথে বরাদ্দ আসে। তাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ৪০ কেজি হারে ছয় শত ৩০ জন জেলেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। স্লিপ বিতরণ শেষে বুধবার বিতরণ করার সময় নির্ধারণ করা হয়। সকালে যুবদলের নেতা সোহেল ও কৃষক দলের নেতা কবির সহ কয়েকজন এসে ক্ষিপ্ত হন এবং চাউলের স্লিপ কাকে দেয়া হয়েছে বলে জানতে চান। পরে বিতরণ বন্ধ রেখে তাদেরকে নিয়ে উপরে একটি কক্ষে বসে হিসেব বুজিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মারেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার ও গ্রাম পুলিশ এসে তার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। পরে রুম থেকে বের হলে কবিরের নেতৃত্বে ইটপাটকেল মেরে পুরো পরিষদ তছনছ করে। বিষয়টি তখনি ইউএনও স্যারকে অবিহিত করলে পুলিশ পাঠিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে।’
হাতিয়া উপজেলা কৃষকদলের উত্তর শাখার আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমি পরিষদের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হট্টগোল দেখে থামি। পরে আমি পরিষদের উপরে গিয়ে দেখি সচিব ও যুবদলের সোহেলসহ একটি কক্ষে পরামর্শ করছে। বাহিরে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পর্যায়ে আমি চলে যাই।’
হরনী ইউনিয়ন ৫নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সোহেল উদ্দিন বলেন, চাল বিতরণ বন্ধ শুনে জেলেরা হট্টগোল করায় আমি সেখানে যাই। সেখানে অনেকে অভিযোগ করেন যারা স্লিপ পেয়েছে তারা জেলে নয়। বিষয়টি আমি সচিবকে জিজ্ঞেস করেছি। তাকে মারার বা তার গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আমার দেশকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এই গ্রুপটি অনেক আগে থেকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আজ বিতরণে তারা বাধা দেয়। সচিবের উপর হামলা করেছে তারা। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সচিবকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।