Image description

ভারতের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী নীতি দক্ষিণ এশিয়ায় গুরুতর পারমাণবিক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে জরুরি কূটনৈতিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ব্লুমবার্গের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে বিলাওয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের বর্তমান সামরিক অবস্থান ভবিষ্যতে যে কোনো সংঘাতের ক্ষেত্রে পারমাণবিক সংঘর্ষের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের নতুন আগ্রাসী মতাদর্শ এই অঞ্চলে পারমাণবিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে। পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার পরিস্থিতিকে অত্যন্ত জটিল করে তুলেছে এবং পাকিস্তানের যে কোনো সম্ভাব্য হামলার জবাব দেওয়ার সময় কমিয়ে দিয়েছে।

ভারতের যুদ্ধবিরতি-পরবর্তী অবস্থানের প্রসঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, মোদি সরকারের ‘নতুন স্বাভাবিক’ ধারণা—যা প্রমাণ ছাড়াই আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িত—বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল। তিনি বলেন, তারা এটিকে ‘নতুন স্বাভাবিক’ বলছে, কিন্তু আমরা এটিকে অস্বাভাবিক বলি। এই বিপজ্জনক মতাদর্শ অনুসারে, ভারত অপ্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে পারে।

বিলাওয়াল পুনর্ব্যক্ত করেন, পাকিস্তান ভারতের পূর্ববর্তী উসকানির জবাবে পূর্ণ এবং সংযত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সময় এসেছে। আমাদের বসে কথা বলতে হবে। সরাসরি এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা ছাড়া এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি অসম্ভব।

ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামের ঘটনায় ভারতের অভিযোগের বিষয়ে বিলাওয়াল দৃঢ়ভাবে পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পেহেলগামের ঘটনায় পাকিস্তানের কোনো ভূমিকা নেই। তিনি যোগ করেন, ভারতের প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করার ইতিহাস রয়েছে। আমরা জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেছি যে ভারত বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে।

তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে এবং এটি আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হবে।