Image description

ফুটবলের ডামাডোলে ক্রিকেট যখন আড়ালে প্রায়, তখন হঠাৎ উঠে এলো আলোচনায়। তবে মাঠের কোনো অর্জনে নয়, কোনো সুখবরও নেই বরং আলোচনায় এসেছে মাঠের বাইরের বিতর্কে।

ক্রিকেট পাড়ায় গত রাতে (বৃহস্পতিবার) হঠাৎ প্রকাশ পেয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদন। যেখানে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় হাথুরুকে সরাতে কলকাঠি নাড়েন তামিম ইকবাল!

এমনটাই দাবি করেছেন সাকিব আল হাসান। ফাঁস হওয়া সেই তদন্ত রিপোর্টে সাকিব দাবি করেন, নাসুম আহমেদকে কথিত চড় মারার ঘটনা সামনে এনে হাথুরুকে সরানোর কলকাঠি নাড়েন তামিম।

তবে তিনি একা নয়, সাকিব আল হাসানের দাবি তামিমের সাথে ছিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস!

এদিকে সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া গণমাধ্যম তাদের বক্তব্যে লিখেছে, তদন্ত কমিটির দুই সদস্য মাহবুব আনাম ও আকরাম খান কোচ, খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলে তৈরি করেন নিজেদের প্রতিবেদন।

দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি তারা খতিয়ে দেখেন চেন্নাইতে হাতুরাসিংহের বিরুদ্ধে নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও।

তবে নিজের চোখে ঘটনাটি দেখা তখনকার স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নিকোলাস লি এবং ভুক্তভোগী নাসুমের বক্তব্য শোনার পর তদন্ত কমিটি একরকম দায়মুক্তি দেয় সাবেক হেড কোচকে।

তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি হয়ে আসার পর সেই তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আবার তদন্তে নামেন। যা শেষপর্যন্ত হাতুরাসিংহের চাকরিচ্যুতির দিকে মোড় নেয়।

অথচ সভাপতি ফারুক আহমেদের অপসারণের পর তদন্ত কমিটির সদস্য মাহবুব আনাম বলছেন, তাদের তদন্তে নাসুমের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

এমনকি নাসুম নিজেও এই ঘটনায় বিব্রত বলে জানান একাধিকবার। চড় ইস্যুর চাইতে এই ঘটনা বাইরে আসা তিনি ভালোভাবে নেননি তিনি।

এদিকে ফাঁস হওয়া তদন্ত বিশ্বকাপের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের একটি বক্তব্য পাওয়া যায়। যা ঘিরে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্রিকেটপাড়া। জানান, হাথুরুকে বহিষ্কার করার মাস্টারমাইন্ড তামিম ও জালাল ইউনুস।

তদন্ত কমিটির কাছে সাকিব বলেছিলেন, চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে হাথুরুসিংহে নাসুমকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ককে তামিম এবং জালাল ইউনুস কাজে লাগিয়েছেন।

তার দাবি অনুসারে, প্রধান কোচের বিরুদ্ধে ইস্যু তৈরির জন্য ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিডিয়াতে ফাঁস করা হয়েছিল! যাকে কাজে লাগিয়ে কোচ হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করা যায়।