
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। প্রতিবছর রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার মানুষ ঈদে আনন্দ মুহূর্ত সময় কাটাতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আসেন। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন বা প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ান অনেকে। উপভোগ করেন ঈদের আনন্দ। ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানও ঘুরতে যান তাঁরা। এবার ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। লম্বা এই ছুটিতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো অনেক বেশি জমজমাট ও লোকসমাগম হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার প্রধান প্রধান বিনোদন কেন্দ্রগুলো হচ্ছে— মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, উত্তরার দিয়াবাড়ি, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, জিয়া উদ্যান, আহসান মঞ্জিল, হাতিরঝিল, জাতীয় জাদুঘর, শ্যামলী শিশু মেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, বুড়িগঙ্গা ইকো পার্ক, যমুনা ফিউচার পার্ক, ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, লালবাগ কেল্লা, ৩শ ফুট সংলগ্ন পূর্বাচল বাজার। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু ছোট ছোট বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ঈদুল আজহায় লম্বা ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকবে। কোরবানির ব্যস্ততার কারণে ঈদের দিন মানুষের সমাগম কম হলেও পরদিন থেকে ঢাকাবাসী ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসবেন বলে আশা করছেন তাঁরা। দর্শনার্থীদের বরণ করে নিতে এরই মধ্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন রঙে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
দর্শনার্থীদের নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নিরাপত্তায় থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানায় লক্ষাধিক দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। প্রতিদিনের মতোই চিড়িয়াখানা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ ছাড়া বেশি বুথের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিংসহ নিরাপত্তায় বেষ্টিত থাকবে।
রাজধানীর হাতির ঝিলসহ বিভিন্ন জায়গা হয়ে উঠেছে মনোরম পরিবেশ। যেখানে ইট পাথরের ব্যস্ত শহর, সেখানে পরিণত হয়েছে আলাদা এক সৌন্দর্যের অভূতপূর্ব জায়গা। আশপাশে রয়েছে রেস্টুরেন্ট ও ছোট ছোট দোকানে খাবারের জায়গা। দর্শনার্থীরা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শুধু আনন্দই উপভোগ করেন না; বরং পরিবার-পরিচিত জনদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থান ঘুরে এক অন্যরকম শিক্ষণীয় অনুভূতি উপভোগ করতে যান অনেকে।
এদিকে বড় পর্দা অর্থাৎ সিনেমা হলগুলোও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সিনেমার দিকে আগ্রহ গড়ে তুলতে বাংলার সুপারস্টারদের ছবি সংবলিত পোস্টার ও বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এবার ঈদে বেশি সিনেমার দিকে আগ্রহ দেখাবে মানুষ বলে মনে করছেন সিনেমা কমপ্লেক্সের মালিক পক্ষ। ঈদুল আজহায় তাণ্ডব, উৎসব, ইনসাফ, টগর, এশা মার্ডার: কর্মফল, নীলচক্র সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে। এগুলো রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে, ব্লকবাস্টার সিনেমাসসহ বিভিন্ন সিনেমায় দেখানো হবে।
নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দর্শনার্থীদের আনন্দকে নিরাপদ করতে টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।