সিলেটে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় দুই নেতার বাগ্বিতণ্ডার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এছাড়া মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে আওয়ামী লীগ দলীয় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের কল দেওয়ার ঘটনা তদন্তে পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গত শুক্রবার (৩০ মে) জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিলেট মহানগর বিএনপি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সামনেই বাগবিতণ্ডায় জড়ান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। এ ঘটনা দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
এর আগে গত ২০ মে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক মতবিনিময় সভা হয়। সভা চলাকালে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ‘কল’ এসেছে, এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইমদাদ হোসেন ওই রাতেই জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও তাঁর অনুসারীদের অভিযুক্ত করেন।
ইমদাদের অভিযোগের পরই ফেসবুকে দুই পক্ষের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দেওয়ার পাশাপাশি একে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় অনুসারী নেতাদের নিয়ে সভা করেছেন ইমদাদ হোসেন। এ নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র বলছে, আলোচনা সভায় দুই নেতার বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এ ডে এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া কল-কাণ্ডের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীকে একমাত্র সদস্য করে কমিটি করা হয়েছে। ১৩ জুনের মধ্যে এ দুটো কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।