Image description
 
এই পত্রিকাটি ভুল করে (নাকি ইচ্ছা করে জানি না) একটা ভুয়া তথ্য দিয়ে শিরোনাম করেছে।
 
বাস্তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন যে, বিগত আওয়ামী শাসনামলে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছে।
 
আর গত ১০ মাসে সন্দেহজনক বিদেশে টাকা প্রেরণের সংখ্যা আগের বছরগুলো থেকে প্রায় দ্বিগুন বেড়ে ২৭ হাজার বারে পৌঁছেছে। এই ২৭ হাজার লেনদেনে টোটাল কত টাকা পাচার হয়েছে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা হয়নি।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারণা করছে পতিত আওয়ামী নেতা ও ব্যবসায়ী এইসব সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত থাকতে পারেন।
 
তো, এই খবরটিকে ভুল শিরোনামে প্রকাশ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি পত্রিকা-- কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন। প্রথমটি কালকে প্রকাশের পর শিরোনাম সংশোধন করলেও দ্বিতীয় পত্রিকা এখনও ভুল শিরোনামেই খবরটি ওয়েবসাইটে রেখেছ।
 
মজার বিষয়টি হলো, গত ১০ মাসে যদি ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হতো তাহলে গত এক বছর ধরে ২০ বিলিয়নের আশপাশে ঘুরাফিরা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ তো এখন শূন্যের কোটায় থাকার কথা!
 
বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে যে, ১০ মাসে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা অকল্পনীয় অবাস্তব এই বেসিক বিষয়টা এত মোটা মোটা সাংবাদিকরা বুঝলেন না কেন?
 
নাকি নিজের এক্সিস্টিং বায়াসকে কনফার্ম করলে এত বড় ফাউল জিনিসও এত বড় সাংবাদিকের চোখে পড়ে না!