Image description

ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে দেশের রাজনীতির বাঁক। চলমান অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে জনমনে নানারকম প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সচেতন ও বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—কোন দিকে যাচ্ছে দেশের রাজনীতি? সংকটের সমাধান হবে কোন পথে? ভোটের সমীকরণই বা কী হবে? জানা যায়, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গত সপ্তাহে টানা আন্দোলন শুরু হয়। ফলে দেখা দেয় অস্থিরতা এবং রাজধানীবাসীকে পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি। এরই মধ্যে সর্বদলীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এরপরই খবর আসে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে নানা মেরূকরণ হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি—তিনটি দলই ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকলেও তাদের লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা।

এমন প্রেক্ষাপটে এ তিনটি দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকালের মধ্যেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠকে বসবে উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকে বিএনপি বলেছে, ডিসেম্বর কিংবা তার আগে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। জামায়াত বলেছে, রোডম্যাপ দিলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আর এনসিপি গণহত্যার বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছে। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন।

কয়েকটি দলের নেতারা আলাপকালে কালবেলাকে জানান, সরকার ডাকলে তারা প্রস্তুত আছেন। তারা নিজেদের মতামত তুলে ধরবেন। তবে প্রায় সব দলের একই সুর। সেটি হলো—চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে। একই সঙ্গে অতিদ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে সরকারকে। অনেকেই আবার চলমান পরিস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারও ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।

বিশ্লেষক এবং রাজনীতিবিদরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং উপদেষ্টা পরিষদকে সংযতভাবে কথা বলতে হবে। সেই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেন সমাধান বের হয়, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অতিদ্রুত সর্বদলীয় সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনের সুস্পষ্ট দিনক্ষণ তথা রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানান রাজনীতিবিদরা।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে একেবারেই বসে নেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক বৈঠকে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এ দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে। আরও বলা হয়, শত বাধার মধ্যেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে—এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়া, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে শপথ পড়ানো নিয়ে অচলাবস্থা, মিয়ানমারের রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’, চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া, নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ বেশকিছু ইস্যু ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ আরও বাড়তে চলেছে। রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা এবং বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ গতকাল কালবেলাকে বলেন, দেশের যে পরিস্থিতি, তা অবশ্যই উদ্বেগের। আজকের এই সময়ে এসে ড. ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, সেটা জাতীয় বিপর্যয়ের কারণ হবে। তিনি সত্যিই চলে গেলে তার জায়গাটা কীভাবে পূরণ হবে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। অনেকে মনে করছেন, সামরিক শাসন বা সে ধরনের কিছু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জায়গাটা পূরণ করা হবে। তবে সেটা হলে তা গণতন্ত্র ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এমনকি সামরিক বাহিনীর জন্যও মঙ্গলজনক হবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব করা উচিত।

চলমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট বিভাজনের কথা তুলে ধরে মাহবুব উল্লাহ বলেন, আধিপত্যবাদ প্রত্যাবর্তনেরই একটি রাস্তা করে দিচ্ছে। এবার আধিপত্যবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে বাংলাদেশের জন্য কবর রচনার ঘটনা ঘটবে। এটা খুবই ভয়াবহ ব্যাপার হবে। ১৯৬৫-৬৬ সালে ইন্দোনেশিয়ায় যে ১০ লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছিল, বাংলাদেশেও সে রকম একটা রক্তের বন্যা বয়ে যেতে পারে। দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল কেন হিসাব করছে না—এটা ভেবে ব্যক্তিগতভাবে খুব হতাশা বোধ করছি। আমি আবারও বলছি, এখন প্রয়োজন একটি জাতীয় সমঝোতা, জাতীয় ঐক্য। সামরিক বাহিনী ও সিভিল ফোর্সের মধ্যেও দূরত্ব তৈরি হলে তা আধিপত্যবাদের পক্ষেই যাবে। এই দূরত্ব কাটিয়ে ওঠার জন্য জাতির মুরুব্বি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। আমি আশা করব, অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন। তা না হলে জাতির জন্য বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। আর এ কাজটি যদি তিনি করেন, তাহলে ‘দ্যাট উইল বি এ গ্রেট সার্ভ টু দ্য নেশন’।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল সকালে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাসীসহ দেশবাসীকে বিচলিত করেছে। এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। দ্রুততম সময়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, সংঘাত-সংঘর্ষ এবং কাদা ছোড়াছুড়ি করে জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া একেবারেই সমীচীন হবে না। তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ফেরাতে এবং দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অতি দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিচারকার্য দৃশ্যমান করা প্রয়োজন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে জাতি আবারও গভীর সংকটে পড়বে। তাই নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দেশের সব অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শের ভিত্তিতে দেশ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি যা ঘটে গেল, সেটি মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। এজন্য এখনই সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে সবাইকে সংযমের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তা ছাড়া ড. আহমদ আব্দুল কাদের মনে করেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি কিছু একটা বলেন বা করেন, সেটি হবে জাতির জন্য পরম পাওয়া। তিনি দেশবাসীকে নির্দেশনা দিলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু গতকাল কালবেলাকে বলেন, দেশের চলমান সংকট নিরসনে দরকার অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ। এটি একমাত্র সমাধানের পথ। একই সঙ্গে দেশ ও জাতির কল্যাণে উপদেষ্টা পরিষদ ও রাজনীতিবিদদের সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে সংকট নিরসনে ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি মনে করি, এটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এখান থেকেই সুষ্ঠু সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়ন। বিচার। জব্দকৃত সম্পদ উদ্ধার। অতঃপর ২০২৬-এর প্রথমার্ধে (মার্চ-এপ্রিল) জাতীয় নির্বাচন। নতুন বাংলাদেশ। এই বিষয়ে ডান-বাম সবাই ঐকমত্য পোষণ করুন।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা গতকাল কালবেলাকে বলেন, স্বজনপ্রীতি এবং এনজিওপ্রীতির সমন্বয়ে যে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়েছিল, তার ব্যাপারে আমরা শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলাম। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি অনভিজ্ঞ উপদেষ্টা পরিষদ বারবার তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হোঁচট খাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় নির্বাচন ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী মনে করেন, দেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নয়, বরং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। পরাজিত শক্তি ও তার দোসরদের কোনো ফাঁদে পা দেওয়া হবে সম্পূর্ণরূপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থায় সরকার ও সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মো. সাহাবুল হক গতকাল কালবেলাকে বলেন, গত ৯ মাসের মধ্যে এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার সবচেয়ে কঠিনতম সময় পার করছে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছা, একটি পক্ষের নির্বাচন পিছিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করার প্রয়াস, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিতর্কিত বক্তব্য বর্তমান সরকারপ্রধানকে নানানভাবে চাপে ফেলেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি সত্যিই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন, সেটি বাংলাদেশের জন্য একটি দুৰ্ভাগ্যজনক বিষয়। এ ক্ষেত্রে দলগুলো যদি সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে, তবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সাংবিধানিক সংস্কার এবং প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। কেননা বর্তমান সংকটের সমাধান রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি, নৈতিক নেতৃত্ব এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর নির্ভরশীল। যদি সব পক্ষ জাতীয় ঐক্যের প্রতি অগ্রাধিকার দেয়, তবে দেশ স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পথে ফিরতে পারে। অন্যথায়, অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে সামাজিক-অর্থনৈতিক মূল্য ভয়াবহ হতে পারে। সময়োচিত পদক্ষেপই পারে ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণ করতে।