
আগামী ২ জুনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠনের আশ্বাসে দীর্ঘ ৮১ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ তিন শিক্ষার্থী। শনিবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিন ইয়ামিন মোল্লা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং সহকারী প্রক্টর স্যার এসেছিলেন। তারা আগামী ২ জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনসহ অন্যান্য বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এ আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা অনশন ভেঙেছি।’
এর আগে গত ২১ মে সাম্য হত্যার বিচার, ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি অনশনে বসেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। এরপরেই তার দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে অনশনে বসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম। পরে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন খালিদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
অনশন শুরুর পর গতকাল শুক্রবার বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ অন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তাদের অনশন ভাঙালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
জানতে চাইলে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জালালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ বলেন, সাম্যের হত্যাকান্ডের বিষয়ে প্রশাসন আমাদরে সন্তোষজনক উত্তর দিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিদিন মামলার অগ্রগতির বিষয়ে ডিবির সাথে খোঁজ খবর রাখছেন। আগামীকালও প্রক্টর ডিবির সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়া সাম্যের পরিবারের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে।
ডাকসু বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী মাসের দুই তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি (উপাচার্য) আমাদের বলেছেন আমরা চাইলে প্রতিদিন গিয়ে আমারা তাদের কাজের অগ্রগতির খোঁজ নিতে পারবো।
দুই তারিখের মধ্যে দাবি না মানা হলে কী সিদ্ধান্ত নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সংগঠনগুলোর সাথে এ নিয়ে আলোচনা করছি। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।