
সাধারণত গ্রামীণ চেকে বোনা পোশাকেই বেশি পরেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও পোশাকে কোনো পরিবর্তন আনেননি তিনি। সাদামাটা পোশাকেই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছিল পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। বিশ্ব ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ড. ইউনূসকে সেদিন কালো কুর্তা পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। অবশেষে সেই কালো কুর্তার রহস্য সামনে আনলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২৩ মে) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার কালো কুর্তা ম্যানেজ করার সেই পেছনের গল্প শোনালেন প্রেস সচিব। যেখানে জানা গিয়েছে কাতারে থাকা অবস্থায় কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে সেই কুর্তা ম্যানেজ করা হয়েছিল। এর দামই বা কত পরেছিল।
প্রেস সচিব ড. ইউনূসের কালো কুর্তা পরিহিত অবস্থার দুটি ছবি শেয়ার দিয়ে তার পোস্টে লিখেছেন, আমরা তখন কাতারে ছিলাম। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। কাতারে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আমরা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের সফরের দ্বিতীয় দিনে, পোপকে শ্রদ্ধা জানানোর তারিখ ঘোষণা করা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা তার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের একজন মহান নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গণসংযোগে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সমস্যা ছিল যে শেষকৃত্যে যোগ দিতে হলে কালো পোশাকের প্রয়োজন ছিল, বিশেষ করে কালো স্যুট। অধ্যাপক ইউনূস বহু দশক ধরে স্যুট পরা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি যেখানেই যান না কেন, তিনি বাংলাদেশের গ্রামীণ চেকে বোনা কুর্তা পরেন। আমরা জানতে পারি তার একটি কালো কোটি আছে, কিন্তু কোনো কালো কুর্তা নেই।’
শফিকুল আলম আরও লিখেছেন, ‘তার ব্যক্তিগত কর্মীরা দোহার বেশ কয়েকটি বাজারে কালো কুর্তা খুঁজলেন কিন্তু আমরা যেগুলো পেয়েছি সেগুলো খুব বেশি দামি ছিল। তাই আমরা সাধারণ বাজারে গিয়েছিলাম এমন কোনো দর্জির খোঁজে যারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কালো কুর্তা সেলাই করতে পারে। কিন্তু এখানেও কপাল মন্দ।’
তিনি আরও লেখেন, ‘পরে আমরা এমন একটি দোকান খুঁজে পাই, যেখানে উপমহাদেশের দর্জি ইউনূসকে চিনতেন। তিনি রেকর্ড সময়ের মধ্যে কালো কুর্তা তৈরি করতে রাজি হন। আর এতে আমাদের মাত্র প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।’