জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিকে সকল প্রকার আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। বহুবার বাংলাদেশকে কৃত্রিমভাবে বিভাজন করা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য নষ্ট করে রাষ্ট্রকে দুর্বল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে দিল্লি আবারো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা তৈরির ছক আঁকছে, দেশকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে ২০০৭ সালের ১/১১-এর মতো আরেকটি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা চলছে।”
নাহিদ ইসলাম দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশপন্থী ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানান, “ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সার্বভৌমত্ব, সংস্কার ও আসন্ন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। একইসাথে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার ও সৈনিকদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সংস্কার, ন্যায়বিচার ও জনগণের ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তাঁকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হতে হবে।”
নাহিদ ইসলাম ঘোষণা করেন:
- জুলাই ঘোষণাপত্র নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে।
- ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
- নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করা হবে।
- নির্বাচনের পূর্বে ‘জুলাই গণহত্যা’-র বিচার দৃশ্যমান হতে হবে এবং তার রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
- নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন একসাথে আয়োজন করতে হবে।
