Image description

দেশের শেয়ারবাজারে ফের অধিকাংশ ভালো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডানের দরপতন হয়েছে। অথচ একদিন আগেই এসব খাতে আশার আলো দেখেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। একদিনও টিকল না তাদের আস্থা। মূলত আস্থাহীনতার কারণে ক্রমশ অন্তঃসার শূন্য হয়ে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পাশাপাশি বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ ভালো কোম্পানির পাশাপাশি প্রায় সবকটি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম কমেছে। ফলে বড় হয়েছে দরপতনের তালিকা। এতে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেন তলানিতে নেমেছে। ডিএসইতে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। তবে এরপরেই একের পর এক মিউচুয়াল ফান্ড ও ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে অন্যান্য খাতের ওপরও। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১১৪টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০০টির। আর ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১২৮টির দাম কমেছে এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।