Image description
 

আসামির জামিন না দেওয়ায় এজলাসে বিচারককে হেনস্তার ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় পাল্টা হুঁশিয়ারি জানাল বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। ভিডিও প্রকাশে ওই আদালতের বিচারককে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাভার সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

খোরশেদ আলম বলেন, যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটা পূর্ণাঙ্গ নয়। এখানে খণ্ডিতাংশ ভাইরাল করা হয়েছে। বিচারক নিজে বলেন আদালতে মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে। অথচ তিনি সেটা ভঙ্গ করে এজলাসের ভিডিও করে তা ভাইরাল করেছে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে ওই বিচারককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 
 

তিনি আরও বলেন, আমরা আইনজীবীরা বার ও বেঞ্চের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট থেকেছি। তবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক সংগঠনের মতো আক্রমণাত্মক বিবৃতি দিয়েছে। তারা কোনো ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ না করেই এবং আমাদের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ না করে একতরফাভাবে বিবৃতি দিয়েছে। এটার কারণে আমাদের সম্পর্কে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সাধারণ সম্পাদক বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে বিচার বিভাগে গণতন্ত্রকামী আসামিদের জেলহাজতে রাখার সব নির্দেশনা প্রদানকারী বলে সর্বজনবিদিত ও আমরা শুনেছি। তার আপন ভাই যশোরের যুবলীগ নেতা এবং তার ভাই বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি বিচার বিভাগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে অপচেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হানিফ মেম্বারকে জামিন না দেওয়ায় ঘটনায় আইনজীবীরা বিচারককে আওয়ামী লীগের দালাল বলে তকমা ও গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ৫ আইনজীবীর সনদ বাতিলের জন্য ৩ দিনের আলটিমেটাম দেয় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের শোকজও করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।